বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখার বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি সংসদে তোলেন।
আজ (২২ জানুয়ারি) সংসদে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন)’ বিলটি তোলা হয়েছে। পরে পাঁচদিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য জনস্বার্থে কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এসবের উৎপাদন বৃদ্ধি, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।
‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের’ এই ধারায় গত ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন আনা হয়। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকেই অধ্যাদেশটি সংসদে উপস্থাপন করতে হয়।
সে অনুযায়ী গত ৫ জানুয়ারি অধ্যাদেশটি সংসদে তুলেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এখন এটি বিল আকারে সংসদে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে এতদিন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করত। এখন দাম বাড়ানোর জন্য এই শুনানির দরকার হবে না। সরকার প্রয়োজন মনে করলে দাম বাড়াতে পারবে।
+ There are no comments
Add yours