হাসপাতালের বেডে আত্নচিৎকার করা মহিলার নাম কোহিনুর আক্তার, তার বাড়ি উত্তর মোহাম্মদ পুর, ঘটনাক্রমে তারা দুই বোনের এক স্বামীর কাছে বিয়ে বসছেন।
কোহিনূরের আগের স্বামীও সংসার ছিলো, সেই সংসারে একটা পুত্র সন্তানও রয়েছে, তার বর্তমান বয়স আনুমানিক ১৮বছর। অপরদিকে কোহিনূরের বড় বোন আনোয়ারার সংসারের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, তার বয়স আনুমানিক ২২বছর। ঘটনার বিবরণীতে কোহিনূর জানান- তার আপন বড় বোন জামাই আবুল কাশেম তাকে বিদেশ নেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সম্পর্ক করে একটা কাবিন ও একটা পার্সপোট তৈরি করে বিদেশ চলে যায়। পরে আর তাকে বিদেশ নেয় নি।
এ বিষয় গুলো নিয়ে কোহিনূরের আগের স্বামীর সাথে বিবাদ হয়। এক বছর পর আবুল কাশেম বিদেশ থেকে দেশে আসলে কোহিনূর তার আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে বড় বোনের অবর্তমানে দুলাভাই আবুল কাশেমকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। এক বছর ঘরসংসার করলে তার সংসারে ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর আবুল কাশেম পুনরায় ওমানে চলে যান।
বিদেশ যাওয়ার পর থেকে কোহিনূর ও তার সন্তানের কোন খোঁজ খবর রাখে না ভরণপোষণও দেয় না। তার ছেলে বর্তমান বয়স ৬ বছর। গত সপ্তাহে আবুল কাশেম মিয়া ওমান থেকে বাড়িতে আসলে কোহিনুর তার ভরনপোষণ দাবী করলে ঝগড়া বিবাদ হয় ,পরে শালিশের মাধ্যমে মিলমিশ হলে আবুল কাশেম কোহিনূরের সাথে রাত্রি যাপন করেন।
সকালে তাদের পুত্র সন্তানকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায,দুপুরে ফিরে না আসায় কোহিনূর তার স্বামী ও পুত্র সন্তানকে ডেকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে যান,সেখানে শাশুড়ী অন্যান্যদের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তার স্বামী আবুল কাশেম সহ আন্যান্যরা তাকে ও তার পুত্র সন্তানকে ব্যাপক মার ধর করে, পরে স্থানীয় লোকজন তাদের কে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় কোহিনূর আক্তার বাদী হয়ে স্বামী, শ্বাশুড়ী ও দেবর সহ কয়েকজনেক আসামী করে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ২৬ জানুয়ারী পুলিশ মামলার প্রদান আসামী আবুল কাশেম কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
+ There are no comments
Add yours