ডেস্ক নিউজ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে আজ (২৫ নভেম্বর) বৃধবার কেক কেটে জাতির জনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এসময় তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোক্তার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিরের সাবেক সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউর করিম চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি উফতেখার সাইমুম চৌধুরী বক্তব্য করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের আইনজীবী ভবন তার আবেগের ও অনুভুতির জায়গা। তাঁর বাবা এ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকাদরও একজন আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী সারা বছরব্যাপী দেশবাসী পালন করছে। কারণ জাতির জনক বাঙ্গালিকে একটি জাতিসত্তা দিয়েছেন। বহু বাঙ্গালি স্বাধীনতার চেষ্টা করেছেন। কেউ পারেননি। জাতির জনক পেরেছেন। তাই বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশও মুজিববর্ষ পালন করছে। জাতির জনক হাজার বছরের ইতিহাসে হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙ্গালিকে জাগ্রত করেছেন। বাঙ্গালিকে তিঁনি এমনভাবে উদ্দীপ্ত করেছেন যা পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্র প্রধান অথবা সরকার প্রধান করতে পারেন নি। এজন্য জাতির জনক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ।
নিপিড়িত মানুষের নেতা মুজিব উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙ্গালির স্বাধীনতা অর্জণ হয়েছে রক্তের বিনিময়ে। ৭১ সালে বাংলাদেশী ১ কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশে ২ কোটি মানুষ গৃহছাড়া হয়েছেন। জাতির জনক তাঁদের আশ্রয় দিয়েছেন। জাতির জনককে হত্যা না করলে সিঙ্গাপুর বা মালয়েসিয়ার আগে বাংলাদেশের উন্নয়ন –সমৃদ্ধির গল্প শুনতো বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যারা বাসন্তিকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে তারা বাসন্তিকে কাপড় কিনে দেয়নি। বাসন্তিকে কাপড় কিনে দিয়েছেন তাকে দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনকের শাসনামলে ৭.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। ৪১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে রেকট ভঙ্গ করতে পেরেছেন। অতীতে কোন সরকার তা করতে পারে নি। মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে কয়েক বছর আগে।
দেশের নানা উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিমান বন্দরে অথবা চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে কোন বিমান চক্কর দেওয়ার সময়ে নিচের দিকে তাকালে কেউ বলতে পারবে না এটা বাংলাদেশ। তখন ভাবতে পারে যে বিমান ভুল করে হয়তো সিঙ্গাপুর চলে আসছে। কুড়িল ফ্লাইওভার, আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার বিমান থেকে এমনই মনে হয়ে। এ উন্নয়ন এমনিতেই হয়নি। এটা সম্বব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা নেতৃত্বের জন্য। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রুপান্তরিত হবে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।পিআইডি।
+ There are no comments
Add yours