‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে শান্তি সমাবেশ করবে। অন্যদিকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সাত জায়গায় সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য দলগুলো।
দেশের রাজনৈতিক বড় দুই দলের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর সড়কে হতে পারে তীব্র যানজট এবং ভোগান্তিতে পড়তে পারে সাধারণ জনগন। এ ছাড়া চাপা উত্তেজনা রয়েছে নগরবাসীর মধ্যে। এদিকে যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
আজ বিকেল ৩টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মাঠে শান্তি সমাবেশ হবে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেবেন।
এদিকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় শুরু হবে বিএনপির সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এবারের কর্মসূচিতে ব্যাপক জমায়েত করতে চায় বিএনপি। এ জন্য কয়েক দিন ধরে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের জেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে তারা।
সমাবেশ থেকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়া অন্য ৯ সাংগঠনিক বিভাগেও সমাবেশ করবে বিএনপি। দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএনপির বাইরে গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, ১২ দলীয় জোট বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন প্রিতম ভবনের উল্টো দিকের সড়কে এবং গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের পশ্চিম দিকে সমাবেশ করবে। সকাল ১১টায় এসব সমাবেশ শুরু হবে। গণফোরাম ও পিপলস পার্টি যৌথভাবে মতিঝিলে নটর ডেম কলেজের উল্টো দিকের সড়কে বিকেল ৪টায় এবং এফডিসির কাছে এলডিপি বিকেল ৩টায় সমাবেশ করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে আমাদের যুগপৎ এই কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।’
+ There are no comments
Add yours