চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মোঃ জাকের হোছাইনের(৪০) নামে আফ্রিকাস্থ দেশ মোজাম্বিকে ব্যবসা পরিচালনাকালে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত মোঃ জাকের হোছাইন বাঁশখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আস্করিয়া পাড়ার মৃত মোঃ ইউসুফের সন্তান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মোঃ জাকের হোছেইন ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ ফখর উদ্দিন একই সাথে বিগত ৮ বছর ধরে পরস্পরকে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং তারা বাংলাদেশে একই উপজেলার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত মোঃ জাকের হোছেইন মোজাম্বিক দেশের গ্রাম অঞ্চলে ব্যবসা করেন এবং অভিযোগকারী ফখর উদ্দিন শহর অঞ্চলে ব্যবসা পরিচালনা করেন। মোঃ জাকের হোছেইন ব্যবসার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী ফখর উদ্দিনের ‘ফখরুদ্দীন ষ্টোর’ নামীয় দোকান থেকে নিয়মিত বাকিতে মালামাল ক্রয় করতেন।
তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বের সরল বিশ্বাস ও সু-সম্পর্কের ভিত্তিতে বাদীর ভাইকে টাকা পরিশোধের অঙ্গীকারে বাংলাদেশী টাকায় ৩১,১৭,৯৫২/- (একত্রিশ লক্ষ সতেরো হাজার নয়শত বায়ান্ন) টাকার মালামাল ক্রয় করেন। যার মধ্যে মোঃ জাকের হোছেইন দুই ধাপে ২,৫০,০০০/- টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে অবশিষ্ট ২৭,১৭,৯৫২/- (সাতাশ লক্ষ সতেরো হাজার নয়শত বায়ান্ন) টাকা অভিযোগকারীর পিতাকে দেশে ফিরে পরিশোধ করার কথা বললেও পরিশোধ করেননি।
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ফখর উদ্দিনের ভাই মোঃ সাহাব উদ্দিন(৩৮)। অভিযোগের তিনি বলেন, ‘পাওনা টাকা বাদী/বাদীর পিতাকে দেশে এসে পরিশোধের কথা থাকলেও আসামী মোঃ জাকের হোছেইন বাদীর ভাইকে না জানিয়ে ১ম ঘটনার কিছু দিন পর সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে পাওনা টাকা প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে আত্মসাতের লক্ষ্যে যোগাযোগ বন্ধ করে বাংলাদেশে চলে আসেন। স্বাক্ষীরা সমস্ত ঘটনা জানেন। তারা সাক্ষ্য প্রমাণসহ আসামীর কৃত অপরাধ বিজ্ঞ আদালতে প্রমাণে সক্ষম।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামী মোঃ জাকের হোছেইনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।
+ There are no comments
Add yours