ঝালকাঠির রাজাপুরে বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দীন সুরু মিয়ার নির্দেশে হত্যার উদ্দেশ্যে এক গাছ ব্যবসায়ীকে এলোপাথ্যারি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের নিজামিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিজামিয়া বাজার সংলগ্ন মৃত আলফাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে গাছ ব্যবসায়ী মো. আওলাদ হোসেন। আহত আওলাদের স্ত্রী ফজিলা বেগম জানান, বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দীন সুরু মিয়ার নির্দেশে তার ছেলে সাব্বির তাদের বাহিনী নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আওলাদের কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিলেন।
চাঁদার টাকা না পেয়ে ঘটনার দিন বুধবার সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে নিজামিয়া বাজারে দোকানে চা পান করার সময় সাব্বির তার বাহীনি নিয়ে দেশীও অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাজার ঘেরাও করে আওলাদকে এলোপাথ্যারি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়। আওলাদের স্ত্রী আরো জানান, হামলাকারীরা ক্ষমতাশালী হওয়ায় তারা পুরো ইউনিয়নকে জিম্মি করে রেখেছে।
তাদের ভয়ে ইউনিয়নের সবাই আতংকিত। আওলাদ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের সমর্থক হওয়ায় শাহাবউদ্দিন সরু মিয়া তার প্রতি আগে থেকেই ক্ষিপ্ত, বিরক্ত ও নাখোশ ছিলেন। এর আগেও সুরু মিয়া এক লাখ টাকায় লোক ভাড়া করে আওলাদকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
হামলার পরে স্থানীয় লোকজন আওলাদকে উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে কর্মরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
আওলাদের শরীরে মাথাসহ জখমী স্থানে শতাধিক সেলাই করা হয়েছে। কোপের কারনে ডান হাত ভেঙ্গে গেছে। রাতেই জরুরী ভাবে তাকে ঢাকায় পঙ্গুতে পাঠানো হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরনের কারনে আওলাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে তাকে রক্ত দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহাবউদ্দিন সরু মিয়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার পুত্র ঘটনাস্থলে ছিলনা।
আমি হামলার জন্য নির্দেশ দেইনি। আওলাদ ভালো না। মুন্নাসহ একদল লোকজন আওলাদকে কুপিয়েছে। রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এর চলতি দায়িত্বে থাকা সঞ্জিব কুমার পাহলান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
+ There are no comments
Add yours