ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাপদক-২০২৩ এর উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) আরজুদা বেগম এর বিরুদ্ধে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত হলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া পরিক্ষার ফলাফল বাতিল করে পূনরায় উপজেলা পর্যায়ে বাচাই পরিক্ষার নির্দেশ দেয়। জানাযায়, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাপদক উপলক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ে বাছাই শেষে উপজেলা পর্যায়ে চারটি বিষয়ে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে চারটি বিষয়ে চারজন বালক ও চারজন বালিকা সহ মোট আট জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। উপজেলার মঠবাড়ী ও শুক্তাগড় ইউনিয়ন সহ উপজেলা পর্যায়ের বাছাই পর্বের প্রশ্নপত্র তৈরী করার দ্বায়িত্বে ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরজুদা বেগম। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশ্নপত্র সম্পন্ন ভিন্ন হওয়ার নিয়ম থাকলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষিণ বাঘড়ী ক্লাস্টার ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশ্ন হুবহু মিল করেছেন আরজুদা বেগম।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান,উপজেলার মঠবাড়ী ও শুক্তাগড় ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্ব সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরজুদা বেগমের । তাই তার দ্বায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠনগুলোর মধ্যে থেকে প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করার জন্য এই অসাধুপন্থা অবলম্বন করেছেন। এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরজুদা বেগম বলেন, প্রশ্নগুলো আমার হাতে করা তাই কিছু মিলে গিয়েছে যে কারনে স্যার উপজেলা পর্যায়ে পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া বাচাই পরিক্ষার ফলাফল বাতিল করে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী উপজেলা পর্যায়ে পূনরায় বাচাই পরিক্ষা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিবুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে এবং উপজেলা পর্যায়ে পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া বাছাই পরিক্ষার ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। পুণরায় আগামী সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) উপজেলা পর্যায়ে বাচাই পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
+ There are no comments
Add yours