সাঙ্গুর তীরে দাঁড়িয়ে আছে অতিথি

Estimated read time 1 min read
Ad1

পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য আনন্দের সঙ্গী-এদের বাঁচতে দিন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সাঙ্গু নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে অতিথি পাখির ঝাঁক।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরে জমিনে গিয়ে দেখা যাই, নদীর কুল ঘেঁষে ঝাঁকে ঝাঁকে দাড়িয়ে আছে অতিথি পাখি।এতে নদীর তীরে বেড়ে গেছে সৌন্দর্যের সমাহার। হালকা মৃদু বাতাসে রৌদ্রময় চরে বেড়াচ্ছে এসব পাখি। তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত গ্রামবাসী। শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে সবুজ পাহাড়ের হাতছানিতে প্রকৃতির ডাকে ছুটে আসে অতিথি পাখি। হ্রদের জলেভাসা চরগুলোতে শত শত অতিথি পাখির কলতানে মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠে প্রকৃতি।

বিশেষ করে শীত মৌসুমের শুরুতেই পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলাসহ রাঙ্গামাটির ডিসি বাংলো, সুভলং, লংগদু, কাট্টলী, মাইনিমুখ, সাজেক, বাঘাইছড়ি, হরিণা, বিলাইছড়ি, বরকলসহ পাহাড়ের বিভিন্ন বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকে অতিথি পাখির দল। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব পাখির কলরবে কানায় কানায় ভরে যায় নদীর তীর ও জলেভাসা চরগুলো। প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত অতিথি পাখি বেশি দেখা যায়।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও শীতের শুরুতেই পাহাড়ি অঞ্চলে অতিথি পাখি এসেছে চোখে পড়ার মতো। নদীর তীরে আসা এক কৃষক জানান, কিছু ধরে কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত সবাই, তাদের কিচিরমিচির শব্দে জমিতে কাজ করে বেশ ভালো লাগছে, যেন পাখির গান গাইতেছে। সাঙ্গুর তীরে নাচে গানে সেজেগুজে আছে তারা।

সাঙ্গু নদীর এক মাঝি বলেন, ডিঙি নিয়ে সাঙ্গুর নদীর মাঝে জেগে ওঠা চরে গরমকালে যখন চাষবাস করতে গিয়ে অনেকেই দেখা পেতেন চড়ুই, বাবুই, ঘুঘু, ডাহুকের। স্বচ্ছ জলে জাল ফেললে উঠত অজস্র মাছ। এ বার লকডাউন যেন ফিরিয়ে দিয়েছে সেই সময়টাকেই। সঙ্গে উপরি রুপোলি শস্য।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours