দেশে ১৯ বছর (প্রাপ্ত বয়স্ক) হওয়ার আগেই বাল্য বিয়ের শিকার ৫৬ শতাংশ কিশোরী গর্ভধারণ করছে। এমনকি গর্ভধারণের পরও অপ্রাপ্ত বয়স্ক এসব কিশোরীরা পরিবার ও সমাজে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে পেডিয়াট্টিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট গাইনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিএজিএসবি) প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
পিএজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম বলেন, ১০-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের গাইনোকোলজিক্যাল যেসব সমস্যা হয়, সেগুলো চিহ্নিত করার ব্যবস্থা আমাদের নেই। দেশে এই বয়সীর সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ। তারা প্রজনন ক্ষমতা, গর্ভধারণ, মানসিক স্বাস্থ্য, পুষ্টিহীনতা এবং নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়।
তিনি বলেন, গত এক বছরে শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও নানা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা এই কার্যক্রম চালিয়েছি। কখনো কখনো চিকিৎসাও দিয়েছি। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের মাঝেও আমরা এই সচেতনতা বাড়াচ্ছি। তবে কিশোরীদের সুরক্ষা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
বক্তারা বলেন, প্রসূতি মৃত্যুর প্রধান কারণ রক্তক্ষরণ। আবার দক্ষ মিডওয়াফ সংকট রয়েছে। এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় প্রসূতিকে অন্তত আটবার চেকআপ করানো উচিত।
+ There are no comments
Add yours