চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্যাপক ভাবে বেড়েছে মশা। মশার আক্রমণে শিকার হচ্ছে নিত্যদিন মানুষ। পটিয়ার বিভিন্ন অলিতে-গলিতে ময়লা আর্বজনা পড়ে থাকায়,সেখান থেকে উৎপন্ন হচ্ছে বিষাক্ত মশা। বছরব্যাপী মশার উপদ্রবের বিষয়টি বহুল আলোচিত।
জনমনে এডিস মশার আতঙ্ক কাজ করলেও যে কোনো মশার বৃদ্ধিতেই তাদের আতঙ্ক বেড়ে যায়। মশার উপদ্রব নগরবাসীর কাছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। গত বছর কিউলেক্স মশার প্রজনন মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মশা জন্মেছিল। এবার এটা আরও বেশি হতে পারে, এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এ পরিস্থিতিতে সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার আশঙ্কা থেকেই যায়। বর্তমানে বাসাবাড়ি-কর্মস্থল কোথাও কিউলেক্স মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার পাচ্ছে না। কয়েল জ্বালিয়ে, ওষুধ স্প্রে করেও মশার হাত থেকে নিস্তার মিলছে না। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে জলাশয়, নর্দমা ও আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি লার্ভা নিধন গুরুত্বপূর্ণ।
এক দোকানদার বলেন, প্রধান সড়কের পাশ ধরে ওষুধ স্প্রে করা হলেও ভেতরের গলিতে মশক নিধন কর্মীদের খুব একটা দেখা মেলে না। অভিযোগ রয়েছে, অভিজাত এলাকাকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, অন্য এলাকাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এসময় মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন ,জলাশয়সহ মশার প্রজননের জায়গাগুলো সারা বছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা না হলে মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
বদ্ধ জলাশয়, কাভার্ড ড্রেন, বক্স-কালভার্ট, প্লাস্টিক বর্জ্য ও ডাবের খোসায় জমে থাকা পানিতে মশার বংশবিস্তার ঘটে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ -বাসাবাড়ি, অফিস, বাজার, উন্মুক্ত স্থান, সড়ক, পার্ক, খেলার মাঠ, সর্বত্রই এখন মশার রাজত্ব। কারন রাস্তার পাশে জমে থাকা ময়লা থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা! এমনটাই ধারনা প্রতিবেশীদের।
+ There are no comments
Add yours