চাহিদা মতো ঘুষের টাকা না পাওয়ায় আবেদনের ৭ বছরেও স্থানান্তর করা হয়নি বিদ্যুতের খুটি। বারবার আবেদন করেও শুরহা করতে না পারারর অভিযোগ তুলছেন ভুক্তবুগ জাকির হোসেন। বসতবাড়ির ছাদ ঘেষে পল্লীবিদ্যুতের ৩ স্তর বিশিষ্ট ১১ হাজার ভোল্টের লাইন টেনে নিয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির আশংকা দেখা দিয়েছে।
রূপগঞ্জ থানা সদরে নারায়ণগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ পূর্বাচল জোনাল অফিসের আওতায় মোঃ মোশারফ এবং জাকির হোসেন নামের দুই ব্যক্তির যৌথ মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ করছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে বাড়ি নির্মাণ কাজ দেখার জন্য দ্বিতীয় তলার ছাদে যান তাদের বয়োবৃদ্ধা মা তাহারুন বেগম। সেই সময় উচ্চ ভোল্টের ওই তারের আকর্ষণে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার গুরুতর আহত হন তিনি। দুর্ঘটনায় তার মুখমন্ডল, মাথা, বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
বর্তমানে তিনি ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতাল ভার্ন ইউনিটের আইসিইউতে জীবন মৃত্যুর সন্ধ্যিক্ষনে ডাক্তারদের গভির পর্যবেক্ষনে আছেন। বিল্ডিং বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে ১১ হাজার ভোল্টের তার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় সময়ই তারের সাথে সর্ট খেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন কাক, বাদুর। এসব ঘটনায় তারে আগুন ধরে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে।
এ নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় কখন যেনো তার ছিঁড়ে পড়ে। ফলে জীবনের ঝুকি নিয়েই ভবনটিতে বসবাস করছেন ৪ টি পরিবারেরর সদস্যার এমনটাই জানান ঐ ভবনের মালিক ভুক্তবোগি জাকির হোসেন। পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় ২০১৬ সালে বিদ্যুতের তার ও খুটি অপসারন চেয়ে একটি আবেদন করেন পূর্বাচল জোনাল অফিসে। ঐ আবেদনের ৭ বছর পার হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বাদ্য হয়ে বভনের দ্বিতীয় তলার কাজ শুরু করার আগে গত সেপ্টেম্ব ২০২২ সনে আরেকটি আবেদন করেন জাকির হোসেন। তখন তার কাছ থেকে মোটা অঙকের ঘুষ দাবি করেন অফিসের লোকজন।
চাহিদা মোতাবেক ঘুষের টাকা না দেয়ায় কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন সেনা সৈনিক জাকির হোসেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের অবহেলার কারণে আমার মা আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ভবনের অপর মালিক মোশারফ বলেন আমি বিদ্যুতের তারের কারণে চরম আতংকের মধ্যে আছি। আমার বাড়ি নির্মাণ হলেও শুধুমাত্র বিদ্যুতের ঝুকির কারণে এখানে বসবাস করা আমার জন্য কঠিণ হয়ে দাড়াবে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ডেমড়া কালীগঞ্জ সড়কের নবগ্রাম অংশে দ্বিতল ভবনের কাজ চলছে। বভনের ঠিক দক্ষিন পশ্চিম কোনে বিদ্যুতিক খুটি। এই খুটি থেকে বভনের উত্তর এবং পশ্চিম পাশ ঘেষে ১১ হাজার ভোল্টের তার চলেগেছে দুই দিকে। বসত বাড়ির ছাদ ঘেঁষে উচ্চ ভোল্টের লাইন টানায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রাও।
+ There are no comments
Add yours