টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে আজই প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দ পেল সাকিব আল হাসানের দল।
বল হাতে হাসান মাহমুদদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পর শান্ত ও সাকিবের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সাকিব অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ৩৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। কার্যকরী এক ইনিংস খেলে আউট হন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া রনি তালুকদার।
আদিল রশিদের গুগলিতে আউট হওয়া রনি ১৪ বলে করেন ২১ রান। জফরা আর্চারের বাউন্সারে লিটন ক্যাচ দেন ক্রিস ওকসকে। ১০ বলে ১২ রান করেন বাংলাদেশ কিপার।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। মূলত তার কার্যকরী স্পেলের কারণেই সফরকারীদের অল্প রানে বেধে ফেলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। পরে ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঝড়ের গতিতে ৫১ রান করেন শান্ত।
মূলত বাটলারই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। ১৬তম ওভারে তাকে ফেরান হাসান মাহমুদ। এর আগের বলেই মুস্তাফিজের শিকার হন বেন ডাকেট। বাটলার ৪২ বলে করেন ৬৭ রান। তার ইনিংসে ছিল সমান ৪টি চার ও ৪টি ছয়। ডাকেট ১৩ বলে খেলেন ২০ রানের কার্যকরী ইনিংস। মন্থর ইনিংস খেলে আউট হন স্যাম কারেন।
তাকে শিকারে পরিণত করেন হাসান। ইংলিশ অলরাউন্ডার ১১ বলে করেন ৬ রান। ক্রিস ওকসের উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ইংল্যান্ডের বাকিদের মধ্যে মঈন আলি ৮, ক্রিস জর্ডান ৫ ও ওকস এক রান করেন।
দিনের শুরুতে অবশ্য টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ইংলিশরা। ইংলিশ দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলার মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। তবে ৩৮ রানে সল্ট ফিরলেও ইনিংসের শেষ দিকে গিয়ে ৬৭ রান করে ফেরেন বাটলার। এছাড়া বেন ডাকেট করেন ২০ রান।
টাইগারদের হয়ে দারুণ বল করা হাসান মাহমুদের বল খেলতে বেশ বেগ পেতে হয় ইংলিশ বোলারদের। এছাড়া ডেথ ওভারে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান করেছেন নজরকাড়া বোলিং। যে কারণে শেষ ৫ ওভারে ইংলিশরা তাদের স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ করে মোটে ৩০ রান।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন তাসকিন, সাকিব, নাসুম এবং মুস্তাফিজুর।
+ There are no comments
Add yours