চাকরিজীবীদের এনআইডি সংশোধনে লাগবে নিয়োগকারীর মতামত

Estimated read time 0 min read
Ad1

নিয়োগকারীর মতামত ছাড়া কোনও চাকরিজীবীর এনআইডি সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন এনআইডি অনুবিভাগ।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাকরি পাওয়ার পর অনেকের বেতন আটকে যায় জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে বয়সের মিল না থাকার কারণে। এছাড়া অন্যান্য তথ্যের গরমিলও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে। এই অবস্থায় তারা ধরনা দেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।

এতে পাওয়া যায় তথ্য গোপনের আলামত। এতে যেমন যোগ্যপ্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হন, আবার আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হন সংশ্লিষ্টরা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের এনআইডি সংশোধন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকটি এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সময় এনআইডি আমলে না নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য এনআইডি শাখায় আবেদন করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, নিয়োগলাভের পূর্বে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আমলে নেওয়া হয়নি বা নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি তা গোপন করেছেন।

এসব আলোচনার পর সর্ব সম্মতিক্রমে দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

  • ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাদি আমলে নিয়ে চাকরিতে নিয়োগদান ও অন্যান্য সেবা প্রদান বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ইতোপূর্বে জারিকৃত পত্রের ধারাবাহিকতায় পুনরায় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য পত্র মারফত অনুরোধ জানানো;
  • সরকারি কর্মচারী নিয়োগদানের ক্ষেত্রে বয়স প্রমাণের ভিত্তি হিসেবে জন্ম সনদ অথবা এসএসসি সনদের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র বিবেচনায় নেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পত্র মারফত অনুরোধ জানানো;
  • তথ্য গোপন করে চাকরি পাওয়ার পর জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন তথ্য সংশোধনের বিদ্যমান আবেদনগুলো নিস্পত্তির ক্ষেত্রে এনআইডি উইং থেকে পত্র প্রেরণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার মতামত গ্রহণ করতে হবে। অতঃপর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours