আজিজুল হক চৌধুরীঃ
সিনেমা বা নাটকের কোন কাহিনী নয়, প্রকাশ্য দিবালোকে প্রকৃত স্বামীর দাবীতে বোয়ালখালীতে এক যুবককে নিয়ে দু’মহিলার মধ্যে কাড়াকাড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরে সংঘটিত এ ঘটনাটি দেখতে শত-শত উৎস্যুক জনতা ভীড় করে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
এদের মধ্যে নোয়াখালীর জনৈক আবুল কালামের কন্যা ফাতেমা বেগম রত্না নামের পরিচয়দানকারী আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক জনের দাবী-গত প্রায় ১৫ বছর আগে চট্টগ্রামে এক আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে আলমগীর (৩৮) নামের এক যুবকের সাথে পরিচয় হয় তার। এ সূত্রে পরবর্তীতে তারা কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে। এ সময় আলমগীরের বাড়ি আনোয়ারা এবং পিতার নাম মোঃ ইদ্রিচ বলে পরিচয় দিলেও তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাননি কোনদিন। ভাড়া বাসায় সংসার পাতে তারা। এ কয় বছরের সংসার জীবনে তাদের সংসারে কালো মানিক ও শাহে আলম নামের দু’সন্তান জন্ম নেয়। যাদের একজনের বয়স ১০ ও অপরজনের ৬ বছর। ভাড়া বাসায় বেশ সুখেই দিন কাটছিল তাদের। সম্প্রতি গত কয়েক দিন যাবৎ ধরে আলমগীরের চাল-চলন ও আচড়নে পরিবর্তন দেখে ফাতেমার মনে নানা সন্দেহের উদ্রেক হতে থাকে। কৌশলে খবর নিয়ে জানতে পারে সে তার স্বামী আছমা খাতুন নামের শাকপুরা এলাকার দু’সন্তানের এক জননীর সাথে গোপনে সংসার পেতেছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া -বিবাধের এক পর্যায়ে গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ উদাও হয়ে যায় আলমগীর। এদিকে ছোট দুটি শিশু ও নিজের মুখের আহার যোগাতে গিয়ে চোখে-মুখে আধাঁর দেখছিল ফাতেমা। এ পর্যায়ে গতকাল এ মহিলার সাথে ঘুরতে দেখে ঝাপটে ধরে স্বামী আলমগীরকে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা দেখে উপস্হিত জনতা তাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় উপস্হিত সাংবাদিকদের জেরার মুখে ফাতেমা নামের কাউকে চিনেনা বলে দাবী করে এ মহিলাকে নিয়ে কৌশলে থানা থেকে সটকে পড়ে কথিত আলমগীর। যা দেখে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে ফাতেমা। রাতে এ রিপোর্ট লেখাকালীন সময় পর্যন্ত ছোট-ছোট দু’অবুঝ শিশু নিয়ে থানার বারান্ধায় গড়াগড়ি করছিল ফাতেমা। তার প্রশ্ন অবুঝ এ দুটি শিশু নিয়ে এখন কোথায় আশ্রয় নেবে সে।
জানতে চাইলে থানার দায়িত্বরত অফিসার মোঃ সালামত উল্লাহ বলেন ফাতেমা নামের এক মহিলা এসেছিল থানায় তবে তিনি লিখিত কোন অভিযোগ দেন নি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
+ There are no comments
Add yours