বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) পদে ঝালকাঠি জেলায় ২৬ জন নারী ও পুরুষ চাকুরী পেয়েছেন। বাছাই পরীক্ষার তিনটি ধাপ পার করে নিজ নিজ যোগ্যতায় চুরান্ত পর্যায়ে স্থান পেয়েছে তারা। এই প্রকৃয়ায় তাদের প্রত্যেকের ১২০ টাকা করে খরচ হয়েছে।যা আবেদনের সময় ব্যাংক ড্রাফটে জমা দিয়েছেন।
কোনো রকম তদবীর-তদারকি বা অর্থ লেনদেন ছাড়াই বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকুরী পেয়ে তাদের অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।অভিভাবকরাও স্বপ্নের মতো দেখেছেন বিষয়টি।
স্বচ্ছতা ও সততার এ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল। চূড়ান্ত প্রার্থীদের অভিভাবকরা কখনো বিশ্বাসই করতে পারেননি তাদের সন্তানদের টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে।
রোববার (১৯ মার্চ) রাত ১১ টায় ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে টিআরসি পদে পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নিয়োগ পরীক্ষায় চুরান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়া ২৬ জন নারী ও পুরুষকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি খাইয়ে দেয়া হয়।
এসময় ঝালকাঠি জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ছাড়াও নিয়োগ বোর্ডে থাকা ভোলা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আছাদুজ্জামান এবং পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আহমাদ মাঈনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ২ মার্চ ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলা থেকে আগত আট শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন পুলিশের ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল’ পদের জন্য বাছাই প্রকৃয়ায়।
প্রথম ধাপে বাছায়ে টিকে ২১১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। সেখান থেকে ৬১ জন প্রার্থী উর্ত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। সকল পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে কোঠা নির্ধারণ মোতাবেক যোগ্যতা অনুযায়ি ৪ জন নারী এবং ২২ জন পুরুষ প্রার্থীকে এই চাকুরীর জন্য চুরান্ত পর্বে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত করা হয়।
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল তার বক্তব্যে বলেন, ‘পুলিশকে আধুনিক ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বর্তমান আইজিপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় পুলিশের সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি পুলিশের মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ২৬ জন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রাথমিক ভাবে চুরান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়া অনেক প্রার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন এই নিয়োগে শুধুমাত্র ১২০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট ব্যতিত আর কোনো খরচ হয়নি। অবৈধ পন্থা কিংবা দালাল ধরতে হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা পুলিশের বাছাই কমিটি ও সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানান।
আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
+ There are no comments
Add yours