ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের অফিস কক্ষে এ মতবিনিময় করেন তাঁরা।
৫ সদস্যের এ প্রতিনিধিদলে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. সান্তন চট্টোপাধ্যায়, বাংলা ওয়ার্ডওয়াইডের বৈশ্বিক প্রধান সৌম্যব্রত দাস ও কলকাতা প্রধান বিদ্যুৎ মজুমদার, রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ভিডিওগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শ্রী দেবজ্যোতি চন্দ এবং কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় প্রসারে প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সহযোগিতা চাইলে তিনি সে বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করে। এছাড়া উপাচার্য বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুপ্রতীম এই দুই দেশের মধ্যে ভাষাভিত্তিক সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তানবীরুল আলম, অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তাঁরা৷ এসময় তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ।
রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুলের সঞ্চালনায় সম্মাননা স্নেহাশিস সুর বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত নিয়ে কূটনীতিকভাবে অনেক কিছুই হতে পারে৷ তবে দুই দেশের মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত একটা সম্পর্ক আছে। রজনীকান্ত সেন, নাটোরের বনলতা সেন, ঋত্বিক ঘটক; সবই আমাদের তীর্থভূমি। এসব দেখার জন্য আমাদের আসতেই হবে। নিয়মিত ঢাকায় যাওয়া হলেও রাজশাহীতে আসার সুযোগ হয় না। এবার রাজশাহীতে এসে এখানকার মানুষ, পরিবেশ, রাস্তাঘাট ও পদ্মা নদী দেখে আমরা মুগ্ধ।
ফারজানা খান সারথি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
+ There are no comments
Add yours