চলতি বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বহন করে সৌদি আরব নিয়ে যাবে তিনটি এয়ারলাইন্স। ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে ফ্লাইট শিডিউল জমা দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।
সেগুলো হলোঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স সংস্থা ফ্লাই নাস।
যাত্রীদের সৌদি পৌঁছাতে মোট ৩৩৫টি ফ্লাইটে শিডিউল ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের হজ চুক্তি অনুযায়ী, হজযাত্রীদের অর্ধেক বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স ও বাকি অর্ধেক সৌদির আরবের এয়ারলাইন্সগুলো বহন করবে।
আগামী ২১ মে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হবে বিমানের প্রথম ফ্লাইট। বিমানের সর্বশেষ ফ্লাইটটি সৌদি যাবে ২২ জুন। ঢাকা-জেদ্দা, ঢাকা-মদীনা ছাড়াও বিমান চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদীনা, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদীনা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি। এছাড়া হজযাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ২ জুলাই থেকে শুরু হবে বিমানের ফিরতি ফ্লাইট।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মোট ১৬৭ টি ফ্লাইটের মাধ্যমে অর্ধেক হজযাত্রী পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া) ও ফ্লাই নাস। এর মধ্যে সাউদিয়া ১১৫টি ও ৫২টি ফ্লাইটে হজযাত্রী নেবে ফ্লাই নাস।
আগামী ২৫ মে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে উড়াল দেবে সাউদিয়ার প্রথম ফ্লাইট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। এদিকে ফ্লাই নাসের প্রথম ফ্লাইট উড়াল ২১ মে ও ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই।
এ বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৭ হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ নিবন্ধন বাকি আছে ৭ হাজার ৫০২ জনের।
এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়।
+ There are no comments
Add yours