উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ওপর হামলার ঘটনায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
আজ (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্রাম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিশ্চিন্তপুর গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের কোনোও বাড়িতেই পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত নেই। দু-একটি বাড়িতে নারীরা থাকলেও তারা বয়সে প্রবীণ। কিছু বাড়িতে শিশুদেরও দেখা গেছে। এসব শিশুদের কাছে তাদের বাবা-মা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলছে ‘আমরা কিছুই জানি না।’ বাড়িতে রান্নার কোনো আয়োজন নেই। জ্বলেনি চুলাও।
যে জমিটি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি সেটি নিশ্চিন্তপুর গ্রামের চরপাড়া মহল্লায় মধুমতি নদীর কাছে অবস্থিত। প্রায় পাঁচ একর পরিমাণ ওই জমিতে পাট, কাঁচা মরিচ ও বেগুন আবাদ হয়। পাশাপাশি চাষ করা হয় পেপে। এ জমির শষ্য ও সবজি এলাকাবাসীর চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জমিতে স্থানীয়রা ৫০/৬০ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। মরিচ, বেগুন, পাট, পেঁপে হয় উর্বর এই জমিতে। এজন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প ঠেকাতে এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরীর সেখানে গেলে প্রতিবাদ জানান এলাকাবাসী। এ সময় ইউএনওর সঙ্গে আসা আনসার সদস্যরা বিধবা আইরিন বেগমের (৪৬) মুখে শর্টগানের বাট দিয়ে আঘাত করেন।
এতে তার নাক ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। এতে উত্তেজিত হয়ে ইউএনওর ওপর হামলা চালান তারা। এ সময় ইউএনওর গাড়ি চালক, দেহরক্ষী, কাজের ঠিকাদার, চার নারী, চার পুলিশ সদস্য ও এলাকাবাসীসহ মোট ১৫ জন আহত হন।
এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার (৫ মে) ভোর ছয়টা পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে এ ঘটনায় রাতে কাউকে আটক করা হয়নি।
+ There are no comments
Add yours