ঝালকাঠির নলছিটিতে মিষ্টি খাওয়ানোকে কেনাদ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৫মে) সন্ধায় জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার সাথে জরিত সবাই ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা।
আহত রাকিব হাওলাদার জানান, শুক্রবার বিকেলে আমাদের ভৈরবাপাশ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পশ্চিম পাশের সড়কে একটি দোকানে আমার ভাই আ.রহমান কাজ করতেছিল। এসময় আমার খালাতো ভাই মো.রবিউল মৃধা মসজিদ থেকে মিলাদের মিষ্টি নিয়ে আসলে আমার ভাইকে জোর করে খাইয়ে দিতে চাইলে সে মিষ্টি খেতে অপাগরতা প্রকাশ করে।
তাতে আমার খালাতো ভাই তাকে বকাবকি করলে একপর্যায়ে তার সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসব শুনে আমরা ঘটনাস্থলে তাদের নিবৃত্ত করতে ছুটে আসি। এরই মাঝে কোন কারন ছাড়াই আমাদের প্রতিবেশী তোজম্বার আলীর দুই ছেলে মো.সহিদ ও মো. শাহিন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পরে। তাদের এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে আমার বড় ভাই জাহিদ হাওলাদারের মাথা ফেটে যায়। অন্যদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে।
আহত জাহিদ হাওলাদারের বাবা জাহাঙ্গির হাওলাদার বলেন, যে মিষ্টি খাওয়াতে এসেছেন তাদের সাথে আমাদের পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। তাই সন্দেহ হওয়ায় আমার ছেলে মিষ্টি খায়নি। সেটা নিয়ে দুই খালাতো ভাইয়ের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়েছে। কিন্তু যারা আমাদের মেরেছে তাদের সাথে তো আমাদের কোন ঝামেলা নেই তারা কেন হঠাৎ আমাদের উপর হামলা করলো সেটা বুঝতে পারছি না। আমাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে কথা বলার জন্য মো. রবিউল মৃধার মুঠোফোনে কল দিলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মো. শাহিন আলী বলেণ,আমরা তাদের মারিনি তারা দুই খালাতো ভাই মারামারি করতেছিল বরং আমরা তাদের দুইজনকে ছাড়িয়ে দিয়েছি। তাদের কারও গায়ে হাতও তুলিনি তাদের অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান জানান, ঘটনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
+ There are no comments
Add yours