৬৮টি স্থানে অপরাধে সক্রিয় ৪১১ হিজড়া

Estimated read time 1 min read
Ad1

রাজধানীতে হিজড়াদের চাঁদাবাজির অভিযোগ শোনা যায় প্রায়ই। রাস্তার সিগনাল, যানবাহন, বাসাবাড়ি, দোকানপাটসহ আবাসিক এলাকায় হিজড়াদের চাঁদাবাজি বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪১১ হিজড়া রাজধানীর ৬৮টি স্পটে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও যৌনকর্মে তৎপর।

ডিএমপি প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪১১ হিজড়া রাজধানীর ৬৮টি স্পটে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও যৌনকর্মে তৎপর। তাঁদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্প্রতি ডিএমপি পদক্ষেপ নিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের পুনর্বাসিত করতে কিছু সুপারিশও তুলে ধরেছে ডিএমপি।

হিজড়ারা জোর করে নবজাতককে তুলে নিয়ে নাচ–গান করেন এবং নবজাতককে জোর করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে চাঁদা আদায় করেন। বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলবদ্ধভাবে ঢুকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করে চাঁদা আদায় করেন। এতে বাধা দিলে মুঠোফোনে অন্য হিজড়াদের ডেকে এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁকে অশ্লীল গালি দেওয়াসহ অপমান–অপদস্থ করেন হিজড়ারা। হিজড়াদের একটি অংশ রাতে নির্জন এলাকায় যৌনকর্ম ও ছিনতাই করেন। হিজড়াদের অর্থ আয় করার সুযোগ থাকায় কিছু নারী-পুরুষও হিজড়া সেজে ভিক্ষাবৃত্তি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, যৌনকর্ম ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।

কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁকে অশ্লীল গালি দেওয়াসহ অপমান–অপদস্থ করেন হিজড়ারা। হিজড়াদের একটি অংশ রাতে নির্জন এলাকায় যৌনকর্ম ও ছিনতাই করেন। হিজড়াদের অর্থ আয় করার সুযোগ থাকায় কিছু নারী-পুরুষও হিজড়া সেজে ভিক্ষাবৃত্তি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, যৌনকর্ম ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।

ডিএমপির অপরাধ ও পরিচালন বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন হিজড়াদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে উদ্যোগ নেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএমপির সদর দপ্তরে তাঁর সভাপতিত্বে বিশেষ সভা হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত দলনেতাসহ হিজড়াদের তালিকা তৈরি ও তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, হিজড়াদের পুনর্বাসিত করতে পুলিশ সদর দপ্তরে কিছু সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। হিজড়াদের পুনর্বাসনে ডিএমপির অপরাধ বিভাগের উপকমিশনারদের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।কোন এলাকায় সক্রিয় হিজড়ারা

খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় চাঁদাবাজিতে তৎপর ৪০ হিজড়া। রামপুরা থানা এলাকায় ১১ হিজড়া সক্রিয়। মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান ও শ্যামলী এলাকায় ২টি স্পটে ২৬ হিজড়া সক্রিয়। আদাবরের বায়তুল আমান হাউজিং এলাকায় ১৮ হিজড়া, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে রানার ভবনের সামনে ১৭ হিজড়া সক্রিয়। দারুস সালাম থানার টেকনিক্যাল মোড়, গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় চাঁদাবাজিতে ২ হিজড়া সক্রিয়।

উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা, উত্তরার ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৪, উত্তরার আবদুল্লাপুর থেকে জসিম উদ্দিন রোডের প্রধান সড়ক পর্যন্ত ৫২ হিজড়া সক্রিয়। তাঁরা বাসাবাড়ি, দোকানপাট, মার্কেট ও গাড়ি থেকে চাঁদাবাজিতে তৎপর রয়েছেন। তুরাগ থানার বাউনিয়া, দক্ষিণখান থানা এলাকায় ২৬ হিজড়া নবজাতকের বাড়ি, নির্মাণাধীন ভবন, রাস্তাঘাট, কাঁচাবাজার, দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজিতে সক্রিয়।

হিজড়াদের উন্নয়নে কাজ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী সালেহ আহমেদ গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, হিজড়াদের আচরণে একপর্যায়ে মানুষ বিরক্ত হয়ে যায়। পুলিশ তাঁদের রাস্তাঘাটের কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে দিলেও এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কে, কী কাজে পারদর্শী, সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পরে সেই অনুযায়ী তাঁদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours