পেপার মিলস নিয়ন্ত্রণ করলেই রাজস্ব আদায় হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা

Estimated read time 1 min read
Ad1

রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাটবাজারে জাল রেভিনিউ যুক্ত বিড়ি ও লাইসেন্স বিহীন বিড়ি বাজারজাত বা বিপনন করে আসছে।

তবে এই ধরনের বিভিন্ন বিড়ি কোম্পানি গুলো বিড়ি বিক্রয় করে আসছে নামে বেনামে। রংপুর জেলা বিড়ি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে রংপুরে বিভাগের প্রতিটি জেলায় বিভিন্ন ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উপস্থাপন করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকের কর্মরত সাংবাদিকরা আরও তথ্য উপস্থাপন করেন যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিরবিচ্ছিন্নভাবে তদন্ত করলে দেশের রাজস্ব খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা যেতে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।

অনুসন্ধানে রংপুর বিভাগে মাত্র তিনটি বিড়ি কোম্পানি ব্যতিরেখে অন্যান্য বিড়ি কোম্পানি গুলো সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে করে বছরের পর বছর রেভিনিউ ফাঁকি সহ নানান অনিয়মের মধ্য দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। যার বিপরীতে প্রতি বছর সরকার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে শুধু রংপুর বিভাগ থেকে।

অনুসন্ধানে তিনটি বিড়ি কোম্পানি সরকারের নির্ধারিত মূল্যে অর্থাৎ ১৮ টাকায় বিক্রি করছে সেগুলো হলো হরিন বিড়ি, মতি বিড়ি ও আনছার বিড়ি । অন্যান্য বিড়ির কোম্পানিগুলো ৬ টাকা ৮ টাকা ৯ টাকা মূল্যে প্রতি প্যাকেট বিড়ি বিক্রি করে আসছে। এছাড়া অনেক নামী দামী বিড়ি কোম্পানি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ৬ টাকা ৮ টাকা প্রতি প্যাকেট বিড়ি বিক্রি করছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মাঠ পর্যায় মনিটরিং করলে এর সত্যতা খুজে পাবে। জরিপে আরও তথ্য উপাত্ত উঠে এসেছে। বাংলাদেশ প্রায় ২ হাজার বিড়ি কোম্পানি রয়েছে। শুধু রংপুর বিভাগে ২ শতাধিক বিড়ি কোম্পানি অনুমোদন রয়েছে। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৪৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

দেশে সব বিড়ি কোম্পানি গুলো ঠিক ভাবে রাজস্ব প্রদান করলে রাজস্বের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে। লাইসেন্সবিহীন ও রেভিনিউ ফাঁকি বিড়ি কোম্পানি গুলোর বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তদারকি করার সুযোগ রয়েছে বলে রংপুর জেলা বিড়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ডিনার জানান।

তিনি দায়িত্ব নিয়ে উল্লেখ করেন অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে সিগারেট/ বিড়ি তৈয়ারির পেপার উৎপাদনকারীর প্রতিষ্ঠান দুটি কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে রাখা।

বাংলাদেশে দুইটি পেপার মিলসে সিগারেট/ বিড়ি তৈয়ারীর কাগজ উৎপাদন করে এরা হচ্ছে বসুন্ধরা পেপার মিলস্ লিমিটেড অপরটি আফিল পেপার মিলস লিমিটেড। এই পেপার মিলস লিমিটেডের এর কর্তৃপক্ষ ৬টাকা ৮ টাকা টাকার বিড়ির কোম্পানি গুলোকে বিড়ি/ সিগারেটের কাগজ বিক্রি করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে উক্ত বিড়ি কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়ে সরকারের নির্ধারিত মূল্য অর্থাৎ ১৮টাকার নীচে বিড়ি বিক্রয় করতে পারবে না । এছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে, বিড়ি সিগারেট উৎপাদনের কাগজ উত্তোলনের সময়ে ৬ টাকা ৮ টাকা বিড়ি কোম্পানিগুলো ভ্যাট ট্যাক্স এর কাগজপত্র প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক করা।

মালিক সমিতির উক্ত নেতা জানান এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, এছাড়া বর্তমান ট্যারিফ মূল্য ১৮ অব্যাহত রেখে ট্যক্স আহরণে উত্তম হবে । তিনি আরো বলেন উপরোক্ত বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কঠোর ভাবে তদারকি করলে এই খাতে রাজস্ব যথাযথ বৃদ্ধি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

এদিকে পোস্ট অফিস থেকে বিড়ি সিগারেট কোম্পানিগুলো রেভিনিউ স্টিকার কাগজ সংগ্রহ করে। এই রেভিনিউ স্টিকার কাগজ তৈয়ারীর জন্য সরকারের খরচ হয় কোটি কোটি টাকা।

রেভিনিউ স্টিকার কাগজ এবং বিড়ি সিগারেট উৎপাদনকারী কাগজ একই জায়গায় ছাপা হলে বড় ধরনের সাশ্রয় হবে রাষ্ট্রের। অন্যদিকে জাল রেভিনিউ যুক্ত বিড়ি/ সিগারেট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সময় দেখা যায়, একই রেভিনিউ স্টিকার বিড়ি বিক্রি করার বিড়ি প্যাকেট থেকে উত্তোলন করে রেখে দেয়, পরবর্তীতে পুনরায় বিড়ির প্যাকেটে লাগিয়ে বিক্রি হচ্ছে দেদারসে । দেশের বিভিন্ন স্থানে জাল রেভিনিউ স্টিকার কাগজ ছাপিয়ে উক্ত ৬ টাকা ৮ টাকা শ্রেণীর বিশেষ কোম্পানিগুলো বিড়ি বিক্রি আসছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে জাল রেভিনিউ স্টিকারের কাগজ জাল ছাপা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours