অনুভবে বিজয়
বশির আহমেদ
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস।বীর বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। মহান বিজয়ের ৪৯ বছর। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, তিরিশ লক্ষ শহিদের রক্ত আর মা বোনদের মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ, একটা লাল সবুজের পরম ভালোবাসার পতাকা। এই পতাকার লাল বৃত্তে মিশে আছে অনেক মানুষের আত্মত্যাগ।শহীদ মিনার দেখলে যে অনুভূতি হয় একইরকম বিজয় দিবসের অনুভূতিও আমি ঠিক গুছিয়ে বলতে পারবো না।শুধু বুকটা গর্বে ভরে ওঠে,আর কেবলি একটি ভরাট কন্ঠ শুনতে পাই ” এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ,, মূহর্তেই যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। মনে হয় আমি পারবো, আমরা পারবোই সব অন্যায় অনিয়মের বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।নিজ চোখে আমি বিজয় দেখিনি কারণ, জন্মই হয়েছে বেশ পরে! অভিধানে বিজয় মানে যা জেনেছি তা যে বাস্তবে মেলাতে পারিনি আজো, সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও স্বাধীনতার পর আজো ক্রমাগত বাড়ছে অর্থনৈতিক সামাজিক বৈষম্য ।পদমর্যাদার দাপট, ব্যক্তিত্বের মিথ্যে অহম এবং সুবিধাবাদী আচরণ,মেকী দেশ প্রেমের মুখোশ পড়ে কিছু লুটেরা লুটে নিচ্ছে এই সোনার বাংলার সুখ সম্পদ, সকলের দায়িত্ব দেশকে ভালোবাসা, মানুষ বাঁচে আশায়, দেশ বাঁচে ভালোবাসা আর সু শাসনে সু বিচারে । বাঙালি জাতি শক্তি ও সাহসে ভরপুর। বাংলার দামাল সন্তানরা দীর্ঘ রক্তস্রোত সাঁতরে ছিনিয়ে এনেছিলো লাল সবুজের পতাকা, বিজয়ের গৌরব। বাঙালির এই গৌরবান্বিত দিনে আমাদের প্রজন্মকে নিতে হবে স্বাধীনতার সঠিক দীক্ষা। আমাদের আছে তারুণ্যের শক্তি, বিজয়ের আনন্দকে শতভাগ করতে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ করতে হবে আমাদেরই। স্বাধীনতার মন্ত্রে শান্তি বয়ে যাক সারা দেশে। গুচে যাক সকল দারিদ্র।সুন্দর হয়ে উঠুক দেশ মাতৃকা। বিজয়ের আনন্দে প্রতিটি ঘর হয়ে উঠুক উৎসবমুখর।সবুজ মাঠে আর পিতার রক্তের জায়নামাজ বা ধর্ষিতা নারীর নিথর লাশ আর না, সোনার বাংলার ভরে উঠুক সোনালী ফসলে,কৃষকের অনাবিল আনন্দের হাসিতে, কিষানীর গানে ,আমি প্রায় তরুণদের কোনো সমাবেশে গেলে একটা কথা প্রায়ই বলি, ‘‘দেশের কাছ থেকে কী পেলাম, সে প্রশ্ন কোরো না৷ নিজের কাছে জানতে চাও, এই দেশকে আমি কী দিলাম৷’’এই যান্ত্রিক যুগে সবাই আত্ব কেন্দ্রিক,অথচ এই স্বাধীন দেশে আমাদের সবাইকে একে অন্যের কথা ভাবা উচিত,সবার সবাইকে সহযোগীতা করা উচিত ,,, আসুন আজ আমরা প্রতিযোগীতা সূচনা করি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ গুলোকে সার্বিক সহযোগীতা করে অন্তত একটুকু খাদ্য আর শিক্ষার নিশ্চয়তা প্রদানকরি,,, এই হোক দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার বিজয় দিবসের উপহার।
+ There are no comments
Add yours