সাবেক মন্ত্রী, তিন বারের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ আফসারুল আমীনের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম ১০ আসন শূন্য হওয়াতে নগর জুড়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। কে হচ্ছে এই আসনে নৌকার মাঝি?
সংসদ আফসারুল আমীন দীর্ঘদিন মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।গত ২রা জুন শুক্রবার ৪-১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় বেসরকারি হাসপাতাল স্কয়ারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নির্বাচন কমিশন আইন মতে আসনটি শূন্য ঘোষণা হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আমল।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ইসি সচিব। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় হচ্ছে ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ জুলাই। সকল কেন্দ্রে ইভিএমে ব্যবহার হবে। থাকবে সিসি ক্যামেরা।
নির্বাচন আসলে নবীন-প্রবীণ অনেকেই নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপ-নির্বাচনকে ঘিরে অতীতে যারা মাঠে – ময়দানে ছিলেন তাদের অনেকেরই নাম বিভিন্ন ভাবে শুনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ শফিউল আজম, মহানগর যুবলীগের সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব ফরিদ মাহমুদ, সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মনজুর আলম।
উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী ফোরামের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে দেখা করে জোর তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে যেসব নেতারা তাদের ত্যাগ-তিথিক্ষার মাধ্যমে দল কে প্রতিষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী সেই সব প্রয়াত নেতাদের ছেলে-মেয়েদের মন্ত্রী-এমপি-চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করেছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ১০ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী এমন কাউকে নৌকা প্রতীক দিয়ে চমক দিতে পারে বলে নগর রাজনীতির তৃণমূলের কর্মিদের মাঝে জোরালো গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলেছেন, একজন রাজনৈতিক কর্মি হিসেবে মনোনয়ন চাইতে পারি কিন্তু পরিশেষে আওয়ামী লীগ যাকে নৌকা দেবে তার পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নৌকাকে বিজয়ী করে আনব।
+ There are no comments
Add yours