বাবা গ্রামে থাকেন এজেন্ট হিসেবে। ছেলে থাকেন লিবিয়ার এজেন্ট হিসেবে। তাদের টার্গেট গ্রামের সহজ-সরল ও অশিক্ষিত মানুষ। এভাবেই চলছে বাবা-ছেলের মানবপাচার ব্যবসা।
এ চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে যশোরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়ন ও পাবনা সদরের চাঁদের বাজার এলাকার চার যুবক। তবে তাতেও মেলেনি রক্ষা, প্রাণে বাঁচতে ধার-দেনা, ঋণ ও সুদে টাকা নিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে এ চক্রকে দিতে হয়েছে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেওয়া হচ্ছে হত্যার হুমকি, মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি।
অভিযুক্ত এ চক্রের মূলহোতা লিবিয়া প্রবাসী বিপ্লব হোসেন যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। বিপ্লবের বাবা ইব্রাহিম ও বিপ্লবের ভাই ইকবালও দেশে থেকে মানবপাচার কাজে এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।
পাচার ও প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- একই গ্রামের শওকত আলীর ছেলে সুমন হোসেন (২৩), পাশের হুজরপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে তরিকুল (২৫) এবং পাবনা জেলা সদরের চাঁদের বাজার গ্রামের আহমদের ছেলে নাজিম (২৪) ও কুরমান আলীর ছেলে মেহেদী (২৪)। বিপ্লবের এ চক্রের পাবনা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন একই গ্রামের মৃত আইতজালের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী মেসেজ।
চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, গ্রামে একটা লোকও ইব্রাহিম এবং তার দুই ছেলে ইকবাল ও বিপ্লবকে কেউ ভালো বলে না।
নিজ গ্রামের যুবকদের ব্যবহার করে এ আদম ব্যবসা শুরু করেছে তারা। প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তাদের প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের তারা টাকা জোরে মামলা আর হত্যার ভয়ভীতি দেখায়।
+ There are no comments
Add yours