জামালপুরের বকশিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বকশিগঞ্জ পৌরসভা সংলগ্ন নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার গ্রামের বাড়ী জন্মস্থান গোমেরচর এলাকায় জিগাতলা ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নাদিম দীর্ঘদিন ধরে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছে।
সম্প্রতি বকশিগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু”র বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশ করায় এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে নাদিমের পরিবার।
গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম পেশাগত দায়িত্ব পালন করে ফেরার পথে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাটহাটি মোড়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী পথ রোধ করে সাংবাদিক নাদিম কে মারাত্মকভাবে আহত করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রথমে বকশিগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলেজ হাসপাতালে ১৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ইতোমধ্যে,হামলার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৬ জন কে আটক করেছে পুলিশ। এই হামলায় জড়িত মূল আসামি ইউপি চেয়ারম্যান বাবু কে এখনো গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।
তার উপর হামলার খবরে ফুসে ওঠে সারা বাংলার সাংবাদিক সমাজ। তাৎক্ষণিক জামালপুরসহ কয়েকটি জেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিক সংগঠন গুলো। বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সারাদেশে ব্যাপি মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন ।
সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে শনিবার মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জামালপুর প্রেসক্লাব।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, নাদিম একজন প্রতিবাদী ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত ও মর্মাহত। এই হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
+ There are no comments
Add yours