‘বাবার কথা মনে পড়ে’ : মোঃ হাবিবুর রহমান

সহজ সরল বাবা মোদের চেহারা যে ফর্সা
বাবার কথা মনে হলেই চোখে নামে বর্ষা।
নিরক্ষর সে হয়ে তবু হিসেব করতেন মুখে
বুঝি হিসেব মিলে গেছে হাসতেন যবে সুখে।

নীতিতে বাপ অটল ছিলেন ছিলেন সত্যবাদী
সময় মতো সব’টা চাইতেন যেন শাহাজাদী।
স্বাস্থ্য বিষয় সজাগ ছিলেন খেত টাটকা খাবার
সময় মতো খেতে হবে বলতেন কথা বারবার।

কারো চাচা কারো মামা কারো আবার নানা
আড়ালে তাঁর যায় করা সব করতে ছিল মানা।
নাতিদের সে করতো আদর গল্প হতো মেলা
মজতো সবাই গল্পে তাঁরই গড়াত রাত বেলা।

শত লোকের সর্দার বাবা, কর্ম পাটের কলে
মালিকপক্ষ করতো স্নেহ সৎবাদীতার বলে।
আজো দেখি চোখ সম্মুখে হাঁটছে বাবা সুখে
বাবা বুঝি দেখতে আসে আমরা আছি দুখে।

সোজা সাপ্টা বলতেন কথা মুখে ছিল হাসি
শেষ বয়সে ব্যস্ত র’তেন সে যে গাঁয়ের চাষী।
বাবা তুমি দুখ পেওনা আমরা মিলবো শেষে
ভ্রাতা ভগ্নি মামা চাচা থাকবো খেলে হেসে।

জীবদ্দসায় সব বাবারাই পায় যেন সে যত্ন
জীবন সবার সুখের হবে হবেন দামী রত্ন।
সব পুরুষে বাবা হবে তাই ভেবে সব করো
ভালো বাবার গুণে সবাই জীবন তবে গড়ো।

মায়ের পাশে বাবা এখন আছো গভীর ঘুমে
কবর আযাব মুক্তি পাবে ঐনা মাটির ভূমে।
হাশরের দিন উঠবে হেসে এ দোয়াটাই করি
সৎবাদীতার গুণ নিয়ে বাপ যেন মোরা মরি।