পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহের পুরো ময়দান জুড়ে বাঁশ, সামিয়ান আর ত্রিপল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ আরও বেশ কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লিদের ঈদের জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সমসংখ্যক মুসল্লিদের জন্য এর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেখা গেছে, ঈদের জামাত ঘিরে আগত মুসল্লিদের জন্য সিলিং ফ্যান লাগানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া মূল গেটসহ আশপাশের সাজসজ্জায় ব্যবহৃত কাঠামোগুলোতে রঙ করা হচ্ছে। শত শত শ্রমিক এখানে প্যান্ডেল ও ত্রিপল লাগানোর কাজ শেষ করেছেন আরও কিছুদিন আগেই।
সিলিং ফ্যানগুলো লাগানো হয়ে গেলে কাতারের সামনের দিকে স্ট্যান্ড ফ্যান বসানোর জন্য সেগুলো আনা হবে এবং নামাজের কাতারের জন্য বসানো হবে বিশেষ কাপড়। এছাড়া বৃষ্টি এলে যেন মুসল্লিদের কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য প্যান্ডেলে ত্রিপল লাগানো হয়েছে আগেই। সব মিলিয়ে জামাত আয়োজনের প্রায় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে এগিয়ে গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন হওয়ায় প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার কাজ করে সংস্থাটি। এ বছরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় জাতীয় এ ঈদগাহের প্রস্তুতির কাজ চলছে।
জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ২৫০ জন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, গুরুত্বপূর্ণ নারীসহ সাধারণ পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী সাড়ে ৩ হাজার জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া ১৫০ জন মুসল্লি যেন একসঙ্গে ওযু করতে পারেন তারও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুরুষদের জন্য ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০টি বড় কাতার করা হতে পারে। এছাড়া নারীদের জন্য আরও ৫০টি ছোট কাতার করার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরো ঈদগাহ ময়দান জুড়ে সামিয়ানার নিচে সিলিং ফ্যান থাকবে ৫৫০ থেকে ৬০০টি, স্ট্যান্ড ফ্যান ১৫০টি, মেটাল লাইট ৪০টি ও টিউব লাইট ৭০০টি। পাশাপাশি খাবার পানির ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে।
+ There are no comments
Add yours