মঙ্গলবার (৪ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলে নড়েচড়ে বসে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন।
এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে সব রোগীকে একসঙ্গে রাখা হলেও এখন কিছুটা তৎপর হয়েছে প্রশাসন। নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের ৩ নম্বর এবং ৬ নম্বর ইউনিটে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের।
তবে এখনো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে আলাদা কোনো ওয়ার্ড নির্ধারণ করা হয়নি। বর্তমানে সেখানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।
আজ (১০ জুলাই) সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চিকিৎসায় কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়া ও আলাদা ব্যবস্থায় চিকিৎসার কথা বলছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে আলাদা ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন।
এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড না করায় আতঙ্কে আছেন চিকিৎসা নিতে আসা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালে আসা খন্দকার রিয়াজুল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সামান্য একটা মশারি দিয়ে রোগীদের রাখা হয়েছে। খুব বেশি নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গু জ্বর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে তৎপরতা নেই বললেই চলে।
কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও নীলফামারীসহ রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চিকিৎসারত ডেঙ্গু রোগীদের অভিযোগ- এখানে চিকিৎসা মিললেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না তারা।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগ ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে এসেছেন। বাড়িতে আসার পর থেকে অনেকে জ্বরে ভুগছেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শ্যামাসুন্দরী খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য খুব দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করাসহ ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমের কারণে কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours