দাম বাড়ানোর বিষয়টি চালু থাকা ২৯৭টি বুথে লিফলেট দিয়ে এবং বুথের কর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছে ওয়াসা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণে ওয়াসার বিশুদ্ধ খাবার পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব চলতি বছরের শুরুতেই দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রস্তাবটি পাস হয় এপ্রিল মাসে।
এর সঙ্গে ভ্যাট যোগ হবে ১০ পয়সা। এ সিদ্ধান্ত আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। বিষয়টি আমাদের বুথগুলোতে লিফলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
দাম বাড়ানোর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যে দামে এত দিন পানি দিচ্ছিলাম সেখানে উৎপাদন খরচই উঠত না।
নগরবাসীকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ২৯৭টি এটিএম বুথ স্থাপন করেছে। এসব বুথ থেকে এত দিন প্রতি লিটার পানি মাত্র ৪০ পয়সায় সংগ্রহ করা যেত।
তবে আগামী ১ আগস্ট থেকে এর জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ৮০ পয়সা, যার ৭০ পয়সা পাবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আর ১০ পয়সা যাবে ভ্যাট হিসেবে। গ্রাহক সুবিধার কারণে প্রতিনিয়িত ঢাকা ওয়াসার ড্রিংকওয়েল বুথে গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পানির চাহিদা। ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ পানির বুথগুলো থেকে প্রতিদিন ১৪ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করছে, কয়েক দিন আগেও যেখানে দৈনিক চাহিদা ছিল ১৩ লাখ লিটার।
ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মতো একটি আরএফআইডি কার্ড বুথের মেশিনের নির্দিষ্ট স্থানে রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেরিয়ে আসে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি। সেই পানি নিজস্ব পাত্রে সংগ্রহ করে গ্রাহকরা। কার্ডের টাকা শেষ হলে বুথ থেকেই ফের লোড করা যায়। ঢাকা ওয়াসা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ড্রিংকওয়েল যৌথভাবে পাম্পগুলোর সংলগ্ন এলাকায় ওয়াটার এটিএম বুথ স্থাপন করে এই সেবা দিচ্ছে। এই সুবিধা পেতে গ্রাহকদের শুরুতে বুথ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে কার্ড করতে হয়। এই কার্ডে ১০ থেকে ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়। বুথ থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পানি সংগ্রহ করা যায়।
জানা গেছে, রাজধানীতে বর্তমানে ওয়াসার ৩২১টি এটিএম বুথ রয়েছে। এর মধ্যে বাসাবো, ফকিরাপুল, আজিমপুর, মোহাম্মদপুর, কমলাপুর, গাবতলী, মিরপুর, উত্তরা, দয়াগঞ্জ, বাড্ডা, ভাটারা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চালু রয়েছে ২৯৭টি বুথ। শুরুতে ডেনমার্কের একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ফকিরাপুলে ওয়াটার এটিএম বুথ স্থাপন করে ঢাকা ওয়াসা। পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ড্রিংকওয়েল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে এসব বুথ স্থাপনের কাজ শুরু হয়। গ্রাহকের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে ৩০০ বুথ স্থাপনের পরিকল্পনা থাকলেও পরে ৫০০ বুথ স্থাপনের পরিকল্পনা নেয় ঢাকা ওয়াসা ও ড্রিংকওয়েল। গতকাল বুধবার পর্যন্ত সচল থাকা ২৯৭টি বুথ থেকে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৫৬২ জন গ্রাহক বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করেছে, তিন মাস আগেও যেখানে গ্রাহকসংখ্যা ছিল তিন লাখ ৯ হাজার।
+ There are no comments
Add yours