নোয়াখালী জেলাজুড়ে ঠাঁই মিলেছে ৩ হাজার ৫৭২ জন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের। এতে করে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও সেনবাগ উপজেলা।
রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেন জেসমিন বেগম। কখনো বৃষ্টিতে ভিজতেন আবার কখনো রোদে শুকাতেন।
মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে কত কান্না করেছেন তার হিসেব নেই জেসমিন বেগমের। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো তার। ঠাঁই মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ঘর পেয়ে মানুষ যখন হাসে, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ছিল একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যে সারাদেশে প্রত্যেক গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ঘর করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তার অংশ হিসেবে আমরা বেগমগঞ্জে ২৫৪টি ঘর তৈরি করেছি। এছাড়াও নোয়াখালী জেলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজারের অধিক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এই মানুষগুলোর এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলেছে। এসব মানুষ রাস্তার পাশে, মানুষের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করতেন।
তিনি আরও বলেন, বেগমগঞ্জের এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কথা বলবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘিরে আমরা এখানে স্কুল করে দেব, মক্তব করে দেব। সব থেকে স্পেশাল যে বিষয়টি এই ৫০টি ঘরের জন্য জমি ক্রয়ের টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা বেদে সম্প্রদায়, ভিক্ষুককেও এই আশ্রয়ণের ঘর উপহার দিয়েছি। তারা সবাই নিজেদের ঘরগুলো আপন মনে সাজিয়েছেন। আমরা চাই প্রত্যেক ভূমিহীন মানুষ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন অনুযায়ী যেন একটা নিরাপদ আবাস্থল পায়, সেই লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
+ There are no comments
Add yours