৯ বছরে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, তবুও ডুবছে চট্টগ্রাম

Estimated read time 1 min read
Ad1

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে শুরু হওয়া এসব প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা।

বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হলেও বন্দরনগরীর বাসিন্দাদের জল-ভোগান্তি দূর করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। উল্টো বেড়েই চলেছে ভোগান্তি। এর কারণ হিসেবে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আলাদা আলাদা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উদ্দেশ্য একই হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী এ তিন সংস্থার মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। প্রকাশ্যে একটি সংস্থা অন্যটিকে দোষারোপ করছে আর যে যার মতো করে কাজ করছে।

নগরে জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করছে সিডিএ। এতে সিটি করপোরেশনের কোনো হাত নেই। মানুষ শুধু শুধু সিটি করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে। আমি সিডিএকে বারবার বলেছি, আপনারা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করুন। কিন্তু তারা এ পর্যন্ত কি একজন কাউন্সিলরকেও কখনও ডেকেছে? সিডিএ তাদের নিজেদের মতো করেই কাজ করছে। সুতরাং এখানে আমাদের অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের কোনো এনগেজমেন্ট নেই।

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সবচেয়ে বড় দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এর মধ্যে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প’ শিরোনামে একটি প্রকল্প ২০১৭ সালের জুলাইয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। পরে সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এখন আবার ব্যয় ও সময় বাড়ানোর প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

এছাড়া ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ নামে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের জুনে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের জুনে।

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বহদ্দারহাট বারৈপাড়া থেকে কর্ণফুলী পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিটি কর্পোরেশন। ২০১৪ সালে ১ হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)। ২০১৭ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নানা জটিলতায় প্রকল্পটির কাজ খুব বেশি এগোয়নি। বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

‘মহানগরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অধীন কর্ণফুলীতে যুক্ত ২৩টি, হালদায় যুক্ত তিনটি এবং বঙ্গোপসাগরে যুক্ত ১৪টি খালের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ৬৯টি পাম্প হাউস নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৯ সালে। কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুনে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি পাউবো। আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের মেয়াদ এখনও বাড়ানো হয়নি, তবে ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours