পরকীয়ার সন্দেহে বোন জামাইকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

Estimated read time 1 min read
Ad1

ফরিদপুর সদরপুরে পরকীয়ার সন্দেহে বোন জামাইকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী হাবুল বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঢাকার তুরাগ কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ ও পরকীয়ার সন্দেহে ভিকটিম রাবেয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্বামী হাবুল। হাবুল তার দুলাভাই সূর্য মোল্লাকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনার করে।

সূর্য মোল্লার রাবেয়ার প্রতি আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল। সে ভিকটিমকে মেরে ফেললে আগের ধার করা টাকা ফেরত দিতে হবে না এই চিন্তা করে হাবুলের কথা অনুযায়ী ভিকটিমকে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে সম্মতি ও সহযোগিতা করতে রাজি হয় এবং রাবেয়াকে হত্যা করে।

আজ (১৫ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৩ আগস্ট ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে রাবেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ফরিদপুর সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তিনি বলেন, হাবুল গত ৭ বছর আগে ভিকটিম রাবেয়া বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর থেকেই ভিকটিম রাবেয়ার বাবার বাড়িতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল হাবুল। বিগত কয়েক মাস ধরেই তার স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ ছিল। মূলত সে তার স্ত্রী রাবেয়ার পরকীয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করত। এছাড়াও হাবুলের স্থায়ী কোনো চাকরি ছিল না। সে ফার্নিচার দোকানে রং মিস্ত্রির কাজ করত। যার ফলে তার উপার্জন কম ছিল। ভিকটিম রাবেয়া বেসরকারি একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করত বলে জানা যায়।

একপর্যায়ে হাবুল তার শাশুড়িকে জানায়, জরুরি কাজে তাকে ঢাকা যেতে হবে এবং সে কৌশলে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আসার পরিকল্পনা করে। হাবুল আত্মগোপনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সে বেশকিছু স্বর্ণ ও রুপার অলংকার এবং গচ্ছিত টাকা নিয়ে রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours