খবর বাংলা ডেস্ক
রাঙ্গামাটি চিংলা মং মারি ষ্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধন করা হয়ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১ উদ্বোধন করনে ।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনে সভাপতি নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকার তালুকদার, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ও ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইফতেকুর রহমান, পিএসসি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ উপস্থতি ছলিনে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল সর্বপ্রথম বৃহত্তর পরিসরের অনুষ্ঠান। আজকের বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১ ২য় বারের মতো এ ব্যতীক্রম অ্যাডভেঞ্চার ধর্মী ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।
ড. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ একটি হচ্ছে মানুষ আর অন্যটি পাহাড় পর্বত, নদী নালা ও খাল বিল। এ সম্পদকে যদি আমরা যথার্থভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়া সহায়ক হবে। তিনি বলেন, অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা এসডিজি লক্ষ্য ২০৪১ সালে আমরা অর্জন করতে পারব।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সংসদ সদস্য দীপংকার তালুকদার বলেন, অ্যাডভেঞ্চার শব্দের সাথে জড়িত আছে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সাহস আর নতুনকে জানার ইচ্ছা। জীবনকে জানার ইচ্ছা দুনিয়াকে জানার ইচ্ছা এবং মানুষকে জানার ইচ্ছা। আজ এ ইচ্ছা তাগিদ থেকে মানুষ অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছে।
বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব বাংলাদেশের জন্য এবং সারা বিশে^র জন্য একটি দৃষ্টান্ত অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতেও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এধরণের অ্যাডভেঞ্চার উৎসব আয়োজন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিন পার্বত্য জেলায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১ সফল বাস্তবায়নের জন্য সবধরণের সহযোগিতার প্রদান করা হবে বলে জানান দীপংকার তালুকদার ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে এই প্রথম রাষ্ট্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের অ্যাডভেঞ্চার অনুষ্ঠান আসছেন এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভলে রয়েছে পর্বতারোহন, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্রেকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্স, মাউন্টেইন বাইক, জিপলাইন, রেপলিং, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ও কেভ ডিসকভারী এবং ক্যাম্প ফায়ার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইভেন্টসমূহ।
আজ ১১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব চলবে। প্রতিযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় হতে ৫০ জন ও সমতল থেকে ৫০ জন সর্বমোট ১০০ জন যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অ্যাডভেঞ্চারার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি চিংহ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
+ There are no comments
Add yours