স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম বাড়িয়ে আরও বেশি প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) থিয়েটার ইন্সটিটিউটে মেয়র রেজাউল মুখে খাওয়া কলেরা টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। এরপর বিকেলে টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের স্বাস্থ্য শাখার প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মেয়র।
অনুষ্ঠান দুটিতে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একমাত্র সিটি কর্পোরেশন, যেটি নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়। একসময় সারা দেশে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম ছিল। তবে, পরবর্তীতে পর্যাপ্ত মনোযোগ না পাওয়ায় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ তার জনসেবার ঐতিহ্য হারায়। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্দশা দূর করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মেমন হাসপাতালকে ঢেলে সাজিয়েছি, অর্থোপেডিক পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। মাতৃসেবা সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডে ৫৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয় চসিক। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের বিনামূল্যে পরীক্ষাও করেছে চসিক। তবে, স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমাদের সম্পূর্ণরূপে নিজেদের রাজস্ব আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলে বর্তমান অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করেই চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম বাড়িয়ে আরও বেশি প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।
অনুষ্ঠান দুটিতে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর, কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, আইসিডিডিআর,বি-এর সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফিরদৌসি কাদরী, জাতিসংঘ শিশু তহবিলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফিল্ড অফিসের প্রধান মাধুরী বানার্জী ও হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ।
+ There are no comments
Add yours