বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত হচ্ছে ৯১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

Estimated read time 1 min read
Ad1

বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত হচ্ছে দেশের ৯১টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ না করলেও সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দেওয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্প্রতি বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নির্বাচনী এলাকার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হয়েছে। ঢাকা পোস্টে এ সংবাদ প্রচারের পর সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের চাপে ৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত মার্চে মন্ত্রী ও এমপিদের ডিও লেটারের (বেসরকারি পত্র) পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় ৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। এবার দীপু মনির নির্বাচনী আসনে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার পর অনেক মন্ত্রী সরকারের উচ্চ মহলে চাপ তৈরি করেন। এরপর চলতি সপ্তাহে ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়।

এবার দীপু মনির নির্বাচনী আসনে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার পর অনেক মন্ত্রী সরকারের উচ্চ মহলের চাপ তৈরি করেন। এরপর চলতি সপ্তাহে ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে

এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের অধীনে দুই হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। শর্তপূরণ না হওয়ায় এমপিওভুক্তি হতে পারেনি সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিদের নির্বাচনী এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হবে বলে গত নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা। তাই আগামী নির্বাচনের আগে এমপিওভুক্ত করা না হলে ভোটে এর প্রভাব পড়তে পারে।

গত বছরের ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের অধীনে দুই হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। শর্তপূরণ না হওয়ায় এমপিওভুক্তি হতে পারেনি সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিদের নির্বাচনী এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, বহু বছর ধরে পাঠদানের স্বীকৃতপ্রাপ্ত  প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অনেক শিক্ষক অবসরে চলে গেছেন। অনেকে মারাও গেছেন। বেতন না পেয়ে হাজার-হাজার শিক্ষক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল প্রতি বছর এমপিওভুক্ত করা। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে তা হচ্ছে না। বরং এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত গেছে। এ অবস্থায় বিশেষ বিবেচনায় এমপিও ঘোষণা নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্য ও অমানবিক আচরণ করা হবে। সরকারের উচিত মানবিক হয়ে সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ঘোষণা করা।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours