সরকার আলুর দাম বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি বাজারে অভিযান শুরু করেছে। তবে অভিযানের পরও জয়পুরহাট জেলায় আলুর দাম কমেনি, বরং সরবরাহে টান দেওয়া হয়েছে।
এই সুযোগে বাজারে আলুর দাম বেশি নিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, জেলায় এবার ৩৮ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে জেলার ১৯টি হিমাগারে ১ লাখ ৬৫ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন আলু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আলু রাখা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চারভাগের একভাগ বীজ আলু। বাকি আলু খাওয়ার জন্য।
এসব আলু হিমাগারে রাখার সময় প্রকারভেদে ১০ টাকা কেজি থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে কেনা পড়েছে। হিমাগার থেকে বের করার সময় সব খরচ বাদে ওই আলুর দাম পড়বে ১৭ টাকা কেজি থেকে ২২ টাকা কেজি। সরকারের বেঁধে দেওয়া পাইকারি দাম ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও মজুতদারদের লাভ থাকবে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়েও একই লাভ থাকবে। তবে এবার আলুতে সিন্ডিকেটের থাবায় দাম বেড়ে ৪০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, হিমাগারে কৃষকেরা যেসব আলু রাখেন সেগুলো বেশির ভাগ বীজ আলু। তাদের কিছু আলু খাবার জন্য থাকে। কৃষকেরা বীজ আলু উত্তোলনের সময় যেটুকু বীজের জন্য লাগবে তা রেখে বাকি আলু বিক্রি করে দেন। তখন আলুর দাম কিছুটা কম থাকে। তবে হিমাগারে ব্যবসায়ীদের আলু বেশি থাকে। এগুলো সবই খাওয়ার আলু। তারা সিন্ডিকেট করে হিমাগার থেকে বেশি দামে আলু বিক্রি করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে আলু বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আর.বি হিমাগারের তিন আলু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ওই অভিযানের পর সকল হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হতে পারে। তখন পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।
+ There are no comments
Add yours