রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখা। সেখানে ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই থাকে বিভিন্ন বয়সী মানুষের আনাগোনা। নিবন্ধন সনদ হাতে পাওয়ার আগে সার্ভার সমস্যা, বকশিশ আর ম্যানেজ মিশনের গ্যাঁড়াকলে পোহাতে হয় ভোগান্তি। যা নিয়ে সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগের শেষ নেই।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকরিতে যোগদান, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নাগরিক সেবার ১৯টি ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা সবার আবশ্যিক প্রয়োজন। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রয়োজনীয় দলিল হাতে পেতে দিনের পর দিন সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে ঘুরে ঘুরেও কোনো ফল পাচ্ছেন না নাগরিকরা।
এ বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখার নিবন্ধক মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতিদিন ১০০টির বেশি আবেদন জমা পড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি গুরুত্ব বুঝে দ্রুত সনদ প্রদানের জন্য। কিন্তু সার্ভার ডাউনের কারণে অনেক কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। সার্ভার না থাকা এটা আমাদের কোনো সমস্যা নয়, এটি নিয়ন্ত্রিত হয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে। আমরা কোনোকিছু বন্ধ করে রাখি না। সার্ভার পাওয়া যায় না মাঝে মাঝে, তখন আমরা সেবাগ্রহীতাদের ফেরত পাঠাই। সার্ভার ডাউন থাকার কারণে যদি কেউ সেবা না পায়, সেখানে আমাদের তো কিছু করার নেই।
তিনি আরও জানান, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করলে তার মা-বাবাকে প্রথমে ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। জন্ম সনদ নিতে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করে ব্যাংকে নির্ধারিত সরকারি ও অফিস ফি জমা করতে হয়। সিটি কর্পোরেশনের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তথ্য ইনপুট দেন। পরে সেটি ভেরিফাই হয়ে আসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে। কিন্তু কোনো ভুল হলে সেটি সিটি কর্পোরেশন থেকে সংশোধন করা যায় না। সেক্ষেত্রে যেতে হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
+ There are no comments
Add yours