মা ও দুই ভাইকে হারিয়ে দিশেহারা সায়েম-সুবর্ণা

Estimated read time 1 min read
Ad1

ফেনীর ফুলগাজীর আমজাদহাটে খড়ের গাদায় চাপা পড়ে মা ও দুই ভাইকে হারিয়ে যেন অকূল পাথারে পড়েছে বেঁচে থাকা ভাই-বোন। দারিদ্র্যতা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে এখন অভিভাবকহীন হয়ে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ১০ বছর বয়সী সায়েম ও ১৮ বছরের সুবর্ণা।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, আনুমানিক ২০ বছর আগে উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের ফকির বাড়ির বাহরাইন প্রবাসী টিপু আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমি আক্তারের (৩৫)। বিয়ের দুই বছরের মাথায় বড় সন্তান সুবর্ণা পৃথিবীর আলোর মুখ দেখে।

ভাগ্যের নির্মমতায় বয়স বাড়ার সঙ্গে স্পষ্ট হয় তার শারীরিক অসুস্থতা। সাহায্য ছাড়া চলতে-ফিরতে পারে না মেয়েটি। তাকে ধরে বসানো ও খাওয়ানো-সবই করতেন মা সুমি আক্তার। মায়ের মৃত্যুর পর বাড়িতে সুবর্ণার দেখাশোনার আর কেউ রইল না।

স্থানীয় একটি নুরানি মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে পড়ছে পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান সায়েম। মা ও দুই ভাইকে হারানোর দুইদিন পার হলেও এখনো তাদের অপেক্ষায় নির্বাক তাকিয়ে আছে এ শিশু। কান্নাবিজরিত কণ্ঠে সায়েম বলে, আমার মারে আনি দেছা (মাকে এনে দাওনা)।

এর আগে, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের ফকির বাড়িতে খড়ের গাদায় চাপা পড়ে সুমি আক্তার এবং তার দুই সন্তান শাহিদ (৫) ও সিয়ামের (২) মৃত্যু হয়। একসঙ্গে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ফুলগাজী উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে তাদের পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীর হোসেন মীরু বলেন, পরিবারটি একপ্রকার অথই জলে ভাসছে। এমন সময়ে তাদের পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours