সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ব্যবসায়ীরা সম্মত না হওয়ায় বরিশালের আড়তগুলো আলু শূন্য হয়ে পড়েছে।
আলু সরবারহকারী ব্যবসায়ীরা বরিশালের ফরিয়া পট্টি থেকে চলে যাওয়ায় দুই দিনের ব্যবধানে আলু সংকট দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন খুচরা বাজারে।
আজ (২২ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরের পাইকারী আলুর আড়ত ফরিয়া পট্টিতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। আড়তদাররা জানিয়েছেন, সরকার আলুর দাম বেঁধে দেওয়ার পর কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
কিন্তু বরিশালের ব্যবসায়ীরা সেই দামে আলু বিক্রিতে অসম্মতি জানালে আলু সরবারহকারীরা বরিশাল থেকে চলে যান। এতে করে দুই দিনে শূন্য হয়ে পড়েছে আলুর আড়ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারী বাজারেই আলুর দাম এখনো নিয়ন্ত্রনহীন। সরকার কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে। খুচরা পর্যায়ে তা সর্বোচ্চ ৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।
কিন্তু কোল্ড স্টোরেজ থেকে ন্যূনতম ৪০ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। ব্যাপারীরা দাবি করেছেন চড়া মূল্যে আলু কিনতে হয়। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে সরকারি নির্দেশনা মানছেন না। এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ ঠিক না থাকায় আড়ত আলু শূন্য হয়ে পড়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, আলু শূন্য হয়ে পড়েছে এমন একটি বিষয় ছড়িয়েছে। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। যদি আলুর সরবরাহ কমে যায় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে কার্যকরী পদক্ষেপ নেব। কোল্ড স্টোরেজগুলোতে আমাদের অভিযান চলছে।
+ There are no comments
Add yours