গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে একটি বিদ্যালয়ে কাগজে কলমে শিক্ষার্থী ভর্তি আছে ১৬০ জন। তবে প্রতিদিন ক্লাস করে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী। এদিকে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যাও ১২ জন।
সকালে ক্লাস শুরু হলেও স্কুল বন্ধ হয়ে যায় দুপুরের মধ্যেই। এমন চিত্র দেখা যায় উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের কদমতলী নিম্ন ম্যাধমিক বিদ্যালয়ে।
অধিকাংশ শ্রেণি কক্ষে চেয়ার-টেবিল থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নগণ্য। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে একজন , সপ্তম শ্রেণিতে ৭ জন ও অষ্টম শ্রেণিতে ৪ জনসহ মোট ১২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি প্রধান শিক্ষক কেএম সরোয়ার কায়েনাত কাজী লাবলুকে।
অভিযোগ রয়েছে, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গোপনে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৫ জনকে নবনিয়োগ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে নেই শিক্ষার পরিবেশ। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থী শূন্যতা হয়ে পড়ছে বিদ্যালয়টি।
সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন আমরা তিন থেকে চার জন ক্লাস করি। প্রত্যেক ক্লাসেই তিন-চার জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী হয় না। কিছু ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থীই নেই। স্যারেরা ক্লাস করিয়ে দুপুরের মধ্যেই ছুটি দিয়ে দেন। ফাঁকা ক্লাসে এভাবে লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না।
পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক অফিসে এসেছিলেন তিনি বিদ্যালয়ে ফিরে গেছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিস্তারিত প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন।
+ There are no comments
Add yours