পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে জশনে জুলুস বের হয়। এতে নগর ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
৫১তম এই জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। এ ছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে জুলুসে ছিলেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ। এর আগে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জুলুসটি নগরের বিবিরহাট, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, জিইসি, ২ নম্বর গেট ঘুরে দুপুরে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরীতে এ জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
দুপুরে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার মাঠে মাহফিল ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় জুলুস। আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ) সভাপতিত্বে আয়োজিত মাহফিলে বক্তব্য দেন পিএইচপি ফ্যামেলির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল আলিম, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ প্রমুখ।
জুলুস চলাকালে নগরে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা কাজ করেছেন। নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জুলুস চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগর পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগ যৌথভাবে কাজ করেছে। এ সময় সাত শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours