প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বেশি কথা বললে, সব বন্ধ করে বসে থাকবো। ভোটে আসলে আবার করব। দেখি কে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (৬ অক্টোবর) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় এক সাংবাদিক মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভানের সঙ্গে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বলেন, সামনে পূজা, আমরা সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করি এবং করব। আমরা অনুরোধ করেছি পূজামণ্ডপগুলো যেখানে সেখানে না করে, কলকাতায় এত বেশি জনসংখ্যা কয়টা পূজামণ্ডপ হয় সেই হিসেবে তো বাংলাদেশে অনেক বেশি হয়। তারপরও আমাদের স্থানীয় জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই সচেতন আছে এটার নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য। বিএনপির আমলের অত্যাচার থেকে হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কেউ বাদ যায়নি। আবার সেটা যেন না করতে পারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সবাইকে সচেতন থাকতে পারে।
প্রার্থী মনোনয়নে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদের বিবেচনা করব
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন কোন বিবেচনায় দেওয়া হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেটাই আমরা বিবেচনায় দেখব, বিবেচনা করব। প্রতি ছয় মাস পর পর আমি কিন্তু সার্ভে করি। কারো পজিশন খারাপ হলে সরাসরি মুখের ওপর বলে দিই। আমরা প্রপার সচেতন বলে নির্বাচনে জনগণের আস্থা পাই, ভোট পাই এবং নির্বাচনে জয়ী হই।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যারা সংসদ সদস্য আছেন তারা কতটুকু জনগণের জন্য কাজ করেছেন, জনগণের আস্থা, বিশ্বাস কতটুকু অর্জন করেছেন, আমরা সেটাকেই বিবেচনা নিই। সেটা বিবেচনায় নিই বলে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি। আমাদের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীরা যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ না করত, তাহলে বাংলাদেশের এত পরিবর্তন হতো না।
যাদের স্যাংশন দেবে, তাদের কাছেই নিরাপত্তা চাইবে
নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা সংস্থার ওপর স্যাংশন দেবে, আবার তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইবে— এটা কেমন কথা।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হতে হবে
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এখানে শুধু এমপি সাহেব ও ডাক্তার সাহেবদের দাঁড় করিয়ে দিলে হবে না। এখানে নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজের ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখা, মশা কোথায় জন্মাচ্ছে সেটা দেখতে হবে। মশার প্রজনন ক্ষেত্র যেন তৈরি না হতে পারে এ ব্যাপারে সবার দায়িত্ব থাকতে হবে। সরকারের পক্ষে থেকে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা আছে এবং প্রচেষ্টা চলবে। এ ব্যাপারে গবেষণাও চলছে, ইতোমধ্যে শুনলাম জাপান না কি টিকা আবিষ্কার করেছে। এগুলো তো আসলে সময়সাপেক্ষ।
+ There are no comments
Add yours