রবিউল ইসলাম জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা ১০ নং ঝাউগড়া ইউনিয়নে ছেলে বউকে নিয়ে শশুর উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
০৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) উপজেলার ঝাউগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনা নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মানুষের মুখে মুখে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, প্রায় ত্রিশ বছর আগে ঝাউগড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়ার সাথে একই এলাকার আবুল কাশেমের বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে কাজলী আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিবাহে আবদ্ধ হয়। তবে কাজলী আক্তার বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায় সময় বাদশা মিয়ার সাথে কলহ লেগেই থাকতো। তাদের সংসারে তিনজন ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জুলহাস মিয়া ঘর জামাই হিসেবে কাজলীদের বাড়িতেই থাকিতো।
জুলহাস মিয়ার শাশুড়ি ময়না বেগম জানায়, প্রায় তিন বছর আগে ঝাউগড়া এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে কাজল এর সাথে মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষবাথান এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে বিথি আক্তারের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর বিথি ও তার শশুর বাদশা মিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে করে তার পরিবার। এই নিয়ে কয়েকদফা দেন দরবারও হয়। সম্প্রতি কাজলের স্ত্রী বিথি আক্তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে মেয়েকে নিজ বাড়ি মহিষবাথানে না পেয়ে ঝাউগড়া তার শশুর বাড়ি লোক পাঠায় তার পরিবার। সেখানে যাওয়ার পর তারা জানিতে পারে বিথি আক্তারের শশুর বাদশা মিয়ারও কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বিথি আক্তার তার শশুরের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে।
এ বিষয়ে ঝাউগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার সোহেল মিয়া জানান, ঘটনা সত্য, মেয়েদের বাড়ি থেকে লোকজন এসেছিল। আগে কেউ না জানলেও এখন বিষয়টি সকলেরই জানে।
বিথি আক্তারের বাবার বাড়ি মহিষবাথান গিয়ে তার বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিথি আক্তারের ছোট বোন ইতি আক্তার জানায়, তার বোন নাকি শশুরের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে।
+ There are no comments
Add yours