এ বছরের মার্চ মাসে ৮০ পরিবারকে জমিসহ নতুন ঘর প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫ মাস পর আবারও নতুন করে ২শতক জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছেন ৪০ পরিবার।
এভাবেই প্রথম পর্যায়ে ৪৭টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১৩৫টি, চতুর্থ পর্যায়ে প্রথমে ৮০টি এবং সর্বশেষ ৪০টি নতুন ঘর পেলেন ৩১৬টি পরিবার। এ সব ঘরগুলো বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর ও দক্ষিণ জলদী, চাম্বল, পুকুরিয়া ও খানখানাবাদে অবস্থিত।
নতুন ঘর পাওয়া কালীপুর ইউনিয়নের কোকদন্ডী গ্রামের প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম বলেন,
‘জীবনে কখনও স্বপ্ন দেখেনি জায়গাসহ নতুন পাকা বাড়ি পাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন পূরন করেছে। এবার বাকি জীবন অন্তত নিরাপদে কাটাতে পারবো।‘
ভিক্ষা করে জীবন চালানো উত্তর জলদী এলাকার চান আরা বেগম বলেন,
‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে মাথা গোঁজার একটা ঠাই করে দিয়েছে। আমি দোয়া করি সে যেন দীর্ঘজীবি ও আজীবন প্রধানমন্ত্রী থাকে।‘
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ভিশন সেন্টার, নবনির্মিত রাস্তাঘাট, বাণিজ্য সুবিধাসহ বাঁশখালীতে উন্নয়নের ব্যাখ্যা করতে গেলে শেষ হবে না। অনুন্নত, জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাঁশখালীতে এতসব উন্নয়ন বাঁশখালীর জনমনে শেখ হাসিনাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। এছাড়া বাঁশখালীতে শেখ হাসিনার অকুতভয় সৈনিক, আওয়ামী লীগের দৃঢ় ঢাল এমপি মোস্তাফিজের সৃজনশীল নেতৃত্ব ও জনহিতকর কার্যক্রম বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে। নিজ অর্থায়নে আওয়ামী লীগ কার্যালয় করে শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি পেয়েছিলেন এমপি মোস্তাফিজ।
যেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে স্থানীয় বা জেলার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের দিয়েই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় সেখানে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল ঘটনা হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের মত ছোট একটি ইউনিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্মার্ট বাঁশখালীর রূপকার হিসেবে পরিচিত বর্তমান সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম -১৬ বাঁশখালীর দুইবার নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (এমপি)। ২০১৪ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদে তার প্রথম দাবি ছিল- বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার জনগণকে রক্ষা করা। বর্তমানে উপকূলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ হয়েছে। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে মেরিন ড্রাইভ হলে উপকূলের জনগণ তাদের স্বপ্নের সবকিছুই কাছে পাবে।
কিন্তু কখনো অস্ত্র হাতে মিছিল, কখনো ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি। বিতর্ক যেন নিত্যসঙ্গী চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে ২০১৮ সালে সমালোচিত হন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নানা বিষয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালের ১ জুন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের নির্বাচনী কর্মকর্তা না দেওয়ায় এক নির্বাচনী কর্মকর্তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মারধর করেন এমপি মোস্তাফিজ।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের পাইরাং এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ২৩ জন আহত হন। এমপি মোস্তাফিজুর রহমান এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুল্লাহ কবির লিটনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘাতের ওই ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তার গালাগালির এক ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে গালাগাল করেন মোস্তাফিজুর। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিনি একটি গাড়ির সামনের আসনে বসে গালাগাল করছেন। ২০১৮ সালে পটিয়ায় এক জনসভায় মুক্তিযুদ্ধে তিন লাখ শহীদ হয়েছে বলে সাত মিনিট বক্তব্য রাখেন মোস্তাফিজ, যা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হন।
এত এত বিতর্কের মাঝেও বাঁশখালীর জনমনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা অটুট রেখেছেন তিনি। নৌকা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে যেকোন বাধা ও যেকোন পদক্ষেপ নিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (জন্ম : ২০ ডিসেম্বর ১৯৫৭) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ২৯৩ নং (চট্টগ্রাম-১৬) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। এছাড়া বাঁশখালীর সার্বিক উন্নতি সাধন করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও ভালবাসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন এমপি মোস্তাফিজ। তার অসুস্থতায় বাঁশখালীর মসজিদে মসজিদে তার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত হয় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। অলিতে গলিতে স্লোগান হয় শেখ হাসিনা ও মোস্তাফিজের নামে। বাঁশখালীর ছাত্রদের কমিটি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন তার নেতাকর্মীরা।
ষড়যন্ত্রের খোলস ভাঙ্গলে দেখা যায়:-
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে গালাগালির প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর বলেন, ‘’ডাবিং করা ভিডিওটি Kine Master Apps এর কয়েকটি খণ্ডচিত্রের জোড়াতালি সংযোজন এবং এডিটিং করা মুখাবয়ব। Kine Master Apps এর ব্যবসা হচ্ছে মানুষের অবিকল রেকর্ডের ভিন্নরূপ দেওয়া। ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্রে Kine Master Apps এর নাম-ঠিকানা রয়েছে। বাঁশখালীতে কতিপয় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দীর্ঘদিন ধরে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।’
নৌকার প্রশ্নে আপোষহীন এই আইনপ্রণেতা বৈধ পিস্তল হাতে মিছিল করার সম্পর্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আমরা রাজপথে নেমেছি। রাজপথেই আমরা বিএনপিকে প্রতিরোধ করবো। অতীতে বিএনপি-জামায়াত যেভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছে সেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করার চেষ্টা করলে আমরা তাদেরকে ঘর থেকে বের হতে দেবো না। এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,
যারা প্রকাশ্য জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে কবরে পাঠানোর হুমকি দেয় তাদের প্রতিহত করতে বৈধ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে ক্ষতি কী?
আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির ভাষ্যে, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের দেশ আজ শান্তি ও সুশৃঙ্খল এবং নিরাপত্তার বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাই আপনারা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য দোয়া করবেন।
বাঁশখালী পৌরসভায় যত সরকারী অনুদান আসবে সব অনুদান কাউন্সিলর, দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়াডে গিয়ে গরীব মানুষ, প্রকৃত হকদারেরা যেন পায় সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী যখন এমপি নির্বাচিত হন তখন বাঁশখালী পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা ছিল, আর এখন বাঁশখালী পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হয়েছে। জনগণকে সাথে নিয়ে বাঁশখালী পৌরসভাকে একটি মডেল দৃষ্টি নন্দন পৌরসভায় উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ:
- পশ্চিম বাঁশখালীর বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উপকূলে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
- চট্টগ্রামের বাঁশখালী,আনোয়ারা, পেকুয়া,চকরিয়া, মগনামা সংযোগ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্র শস্ত করণে ১৫০ কোটি ব্যয়ে কাজ সম্পন্ন।
- ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধান সড়ক সংস্কার করণ কাজ।
- বি়ভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক সংস্কার কাজের জন্যে সাংসদ মোস্তাফিজের বিশেষ বরাদ্দ থেকে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়।
- জেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক সংস্কার,কালভার্ট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রায় ৪৩ কোটি টাকার কাজ,এলজিইডি থেকে ৫০ কোটি টাকার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হয়েছে।
- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আওতাধীন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এইচ.বি দ্বারা ও ব্রিক সলিং কাজ সম্পন্ন।
- ২০০টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়।
- ১০ কোটি ব্যয়ে দৃষ্টিন্দন পর্যটন কেন্দ্র বাঁশখালী ইকোপার্ক সংযোগ সড়ক সংস্কার ও বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন।
- বাঁশখালী আদালত ভবন সংলগ্ন উত্তর জলদী রুহুলা পাড়া সংযোগ সড়কে আর সি সি ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাঁশখালীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণে সাংসদ মোস্তাফিজ।
- বাঁশখালী উপজেলার ৪ টি কলেজে ৪তলা বিশিষ্ট ৫টি ভবন নির্মাণে ২০ কোটি টাকার কাজ, ২০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ এবং ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
- এছাড়াও বাঁশখালী আলাওল ডিগ্রি কলেজ ও বাঁশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করণ করণ।পুইঁছড়ি মাদ্রাসা ও জলদি হোসাইনীয়া মাদ্রাসাকে কামিল (এমএ) ক্লাসে উন্নতি করা হয়েছে।
- ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশখালী আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ, উপজেলা পরিষদ (কমপ্লেক্স) ভবন,উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস নতুন ভবন,থানা ভবন, ফায়ার সার্ভিস ভবন,উপজেলা কৃষি অফিস ভবন ও খানখানাবাদ ভূমি অফিসসহ নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
- বাঁশখালী উপজেলায় ৪টি নতুন বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ ও ১ লাখ নতুন মিটার সংযোগ প্রদান কার্যক্রম নিশ্চিত করণ।
- টিআর ও কাবিখা,বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়ন, মসজিদ,মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে সংস্কার কাজের জন্যে ৩৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।
- খাদ্য পানি সংকট নিরসন কল্পে খাদ্য পানি সরবরাহের জন্যে ২৫০ টির বেশি গভীর নলকূপ স্থাপন করণ, উপকূলীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র (সাইক্লোন সেন্টার)সংলগ্ন ৫টি মুজিব কিল্লা সংস্কার ও মেরামত কাজের জন্যে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দের কাজ।
- বাঁশখালী থানায় নতুন গাড়ী,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জন্যে নতুন গাড়ী প্রদান করা হয়।
- বাঁশখালীর গরীব দুঃখী ও অসহায় রোগীদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন আ্যম্বুলেন্স প্রদান।
- সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য হলো,সাম্প্রতিক মহামারি “করোনা” আতংক ছড়িয়ে পড়ার ফলে সারাবিশ্ব যখন উৎকণ্ঠায়,ঠিক সেই সময়ে ১৬ হাজার গরীব ও দুস্থ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা,এবং তিনি নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলায় ৩০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার খোলে ‘করোনা’ সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করেছিলেন সাংসদ মোস্তাফিজ।এছাড়াও সাংসদ মোস্তাফিজের পক্ষ থেকে প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে দূস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারে ইফতার সামগ্রী প্রদান কার্যক্রমতো অব্যাহত রাখা।
- উপজেলার ১৩০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান করেন তিনি।
- মজার বিষয় হলো,বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উপকূলীয় এলাকা বাঁশখালীর বাহারচড়া ইউনিয়ন সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অনুমোদনও নিয়েছেন সাংসদ মোস্তাফিজ।
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিজ্ঞা মতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২ শতক করে ভূমি ও ঘরসহ প্রথম ধাপে পৌরসভা সদর পূর্ব জলদি,উপজেলার পূর্ব চাম্বল, খানখানাবাদ ও পুকুরিয়ায় ১৯৬ টি ঘর হস্তান্তর করণ,পরে আরো ৮০ টি পরিবারকে একই ভাবে ঘর প্রদানের মতো নজির স্থাপনও করেছেন আলহাজ্ব মোস্তাফিজ।যাহা ইতিপূর্বে অন্যকোন আমলে হয়নি।
- বাঁশখালী হয়ে মেরিন ড্রাইভ অনুমোদন।
- এছাড়াও কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ কল্পে যথাসময়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম,সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপন করণ।
বাঁশখালীতে সকল ধর্ম,বর্ণ ও পেশার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সাম্প্রদায়িকতা রোধকল্পে সর্বাবস্থায় অভিভাবকত্ব পালনের পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাকে পূজি করে তাঁহার নির্বাচনী এলাকায় নিরপরাদ কোন মানুষ রাজনৈতিক, পারিবারিক কিংবা ব্যক্তি কেন্দ্রীক প্রতিহিংসার স্বীকার হচ্ছে কিনা,দলের নেতা কর্মীরা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে কিনা সেই বিষয়েও খেয়াল রাখেন মোস্তাফিজ।
এমপি মোস্তাফিজের সম্পর্কে বাঁশখালীর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সাথে আলাপে তারা বলেন, আমাদের বাঁশখালীবাসীর অভিভাবক হিসেবে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান সর্বদা জনগণের চাওয়া পাওয়া, সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। তিনি সকল দূর্নীতি ও অমানবিকতা আপসহীনভাবে মোকাবেলা করেছেন।
তার বিরুদ্ধে হাজারো ষড়যন্ত্র হলেও আমরা সাধারণ জনগণ সর্বদা তার পাশে রয়েছি ও থাকব, এবং বাঁশখালীর সর্বস্তরের খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ- আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাদের এমপি মোস্তাফিজকে পুনরায় নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করবেন। বাঁশখালীর মত অঞ্চলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে এমপি মোস্তাফিজদের বিকল্প নেই।
+ There are no comments
Add yours