কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রামে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ উপলক্ষ্যে নৌকার আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। বিশাল মাঠও জনসভার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আশপাশে সাজসজ্জার কাজও প্রায় শেষ। প্রধানমন্ত্রী যে সড়ক দিয়ে আসবেন সেটিতে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১০ লাখ জনসমাগমের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সাধারণ মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনী বার্তা দিতে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
জনসাধারণকে বোঝানো হচ্ছে, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। তৃতীয় মেয়াদের ক্ষমতার শেষে একেবারে নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল উপহার দিয়েছেন তিনি।
টানেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শনিবার চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির মধ্যে রয়েছে– সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে তিনি গণভবন থেকে তেঁজগাও বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখান থেকে ৯টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টার চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে পৌঁছাবে।
বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করবেন। এরপর টানেল দিয়ে আনোয়ারা পৌঁছে ১২টায় সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। দুপুর ২টায় জনসভা শেষ করে আবার টানেল হয়ে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি এসে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর দুই তীর সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।
+ There are no comments
Add yours