লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ দুই উপনির্বাচনের গেজেট স্থগিতই থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এদিকে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঠিক আগমুহূর্তে ‘আনুষ্ঠানিকতার’ এ দুটি উপনির্বাচনে কারচুপি ও জাল ভোটের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এলো নির্বাচন কমিশন।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভক্তির মধ্যেই এ দুটি আসনের উপনির্বাচন নিয়ে খানিকটা বিব্রত সংস্থাটি। ফলে নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ নিয়ে হার্ডলাইনে রয়েছে কমিশন।
ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের খুব একটা বেশি সময় বাকি নেই। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আগামী সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে পুরো কমিশনই ব্যস্ত সময় পার করছে।
এর ঠিক আগমুহূর্তে রোববার অনুষ্ঠিত দুটি আসনের আনুষ্ঠানিকতার উপনির্বাচন নিয়ে অনেকটাই নির্ভার ছিল কমিশন। ভোটের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোট বর্জনকেও তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
ফলে ভোট শেষে এ দুটি নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি ইসির দায়িত্বশীল কেউ। কিন্তু ভোটের পরদিন কারচুপি ও জাল ভোটের ভিডিও ভাইরাল ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর অবাক হন কমিশনের কর্মকর্তারাও।
এর আগে, রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মেরেছেন তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে বিষয়টি ইসির নজরে আসে।
এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
+ There are no comments
Add yours