শ্রমিক আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য শতাধিক কারখানা বন্ধ

Estimated read time 1 min read
Ad1

মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

আজ (১১ নভেম্বর) টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং জিরাবো-বিশমাইল সড়কের এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রোসওয়্যার লিমিটেড, সেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ প্রায় শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।

ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার গেটে টাঙানো নোটিশে লেখা, গত ৮ নভেম্বর কারখানায় বহিরাগত হামলা হওয়ার কারণে বিকেল ৩টার দিকে কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে পরদিন ৯ অক্টোবর শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ বন্ধ রাখেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বেলা ১১টার দিকে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমিকরা কারখানা ত্যাগ না করে বিভিন্ন অবৈধভাবে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করতে থাকেন। এতে করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে।

কর্তৃপক্ষ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা শান্ত না হয়ে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের এমন আচরণ শ্রম আইন অনুযায়ী অবৈধ ধর্মঘটের আওতায় পড়ে। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও অবৈধ ধর্মঘট করার কারণে ৯ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিংবা কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার নোটিশে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কারখানায় এসে ফেইস পাঞ্চ করে। তারা কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার চেচামেচি করে। পরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যায়। এতে করে নিরুপায় হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।

কিন্তু বেতনের আগ পর্যন্ত ৫ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যায়। বেতন হয়ে গেলে ৮ নভেম্বর আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে শ্রমিকরা। সাধারণ শ্রমিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মিছিল করতে করতে কারখানা গেটে চলে যায়। এমতাবস্থায় আবারও কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয়। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ৯ নভেম্বর   কারখানা বন্ধ রাখে। এমন কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃঙ্খলতা ও বে-আইনি ধর্মঘটের শামিল। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১১ নভেম্বর হইতে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours