শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ২ শতাধিক।
পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেডে জায়গা না হওয়ায় সমস্ত ওয়ার্ডের বারান্দায় শয্যা পেতে চলছে শিশুদের চিকিৎসা। মাত্র একজন শিশু ডাক্তার দিয়ে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শীতের শুরুতে শিশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়াতেই এই অবস্থা। তবে জেলা স্বাস্থ বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা হাসপাতালের দুজন ডাক্তারকে দুই দিন করে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তবে রোগীদের মাঝে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডের শয্যাগুলোর একটিও ফাঁকা নেই। কোনো কোনো শয্যায় একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা চলছে। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় বেশির ভাগ শিশুকে মেঝেতে শুইয়ে রেখে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এমনকি বেঞ্চে শুইয়েও কেউ কেউ চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে কিছু কিছু রোগীর স্বজনের দাবি, যেহেতু রোগগুলো বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত। তবে মেঝেতে শুইয়ে রাখলে শিশুদের ঠান্ডায় কষ্ট বেশি হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্রাচার্য বলেন, সদর হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর মানুষের আস্থা বেশি থাকায় সবাই এখানে আসে। রোগী প্রতিনিয়তই বেশি থাকে। তবে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া আমাদের হাতে নেই। আমরা সীমিত জনবল দিয়ে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এ ছাড়াও শিশুদের যেন শীতকালীন রোগ না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours