শীত মৌসুম এলেই শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলের বাসিন্দারা। উপজেলাজুড়ে শুঁটকি উৎপাদনে হিড়িক পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকাজুড়ে ছোট বড় ৯৫ থেকে ১০০টি মহাল রয়েছে। আর এসব মহালে এক হাজারেরও অধিক লোক শুঁটকি উৎপাদনে কাজ করেন। আর এই বিষমুক্ত শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন যাচ্ছে দুবাই, ওমানসহ বিভিন্ন দেশে। এতে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হয়।
চলতি মৌসুমে উপকূলে তিন হাজার টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কাঁচা মাছের চেয়ে শুঁটকি অনেকটা মজাদার হওয়ায় দামও থাকে বেশি। নভেম্বর থেকে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, কুতুবদিয়ার উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন চরে শুঁটকি পল্লীতে সহস্রাধিক দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। জেলে ও শ্রমিক শুঁটকি উৎপাদনকারী একটি জনগোষ্ঠী তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন এই শুঁটকি উৎপাদনে।
জেলে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করে যেতে পারেন এজন্য তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এ বছর উন্নত বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদনে ২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট (মৎস্য অধিদপ্তর)-এর উদ্যোগে বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদনে কুতুবদিয়া উপজেলার ১০ জন শুঁটকি উৎপাদককে আগামী মাসে উন্নত প্রযুক্তির ফিশ ড্রাইয়ার প্রদান করা হবে।
বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদনে মৎস্য দপ্তরের নিয়মিত মনিটরিং চলমান। বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় শুঁটকি উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের সহযোগিতা থাকবে।
+ There are no comments
Add yours