জিম্বাবুয়ের সহিংস ও বিতর্কিত নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নীতির অধীনে থাকা ব্যক্তিরা মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
কারচুপির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতায় আসতে পারেন। তবে দেশটির সাধারণ জনগণ এ বিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়।
আজ (৪ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন।
জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের নির্বাচন চলাকালে এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া, রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া; গণতান্ত্রিক, শাসন, বা মানবাধিকার সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিয়োজিত নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা; ভোটার, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে হুমকি কিংবা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানোর মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘুষসহ দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত থাকতে পারেন যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে। নির্বাচনী মামলার বিচারের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে থাকতে পারেন কিংবা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘন করতে পারেন।
যে কেউ জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন- সেটা জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের নির্বাচন চলাকালীন এবং তারপরে হলেও এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি উক্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়ের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন চায় এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জিম্বাবুয়ের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।
+ There are no comments
Add yours